অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতের নৌবাহিনী


জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতের নৌবাহিনী। শুক্রবার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানায় ভারতের নৌবাহিনী। তারা একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর, ভারতের নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরবর্তী টহল জাহাজ (এলআরএমপি) মোতায়েন করেছে।

ভারতের নৌবাহিনী এই ঘটনার খবর পেয়ে, তাৎক্ষণিকভাবে এলআরএমপি জাহাজ মোতায়েন করে। ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর, জাহাজের ক্রুদের অবস্থা জানার জন্য কয়েক দফা যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।

তবে, জাহাজ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী। বলেছে, ভারতের নৌবাহিনী এ অঞ্চলে নৌ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং নাবিকদের নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।

এদিকে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটির নাবিকদের সুস্থভাবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে, জাহাজ এবং নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”

একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ ২০১০ সালে অপহরণ হয়েছিলো বলে জানান হাছান মাহমুদ। “সেটিকে মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিলো। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি;” যোগ করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, “ইনশাল্লাহ আমরা আশা করছি অতীতের মতো এবারো সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারবো।”

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন যে ভারত মহাসগরে ২৩ নাবিকসহ ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার আগে জাহাজটিকে নোঙর করে জলদস্যুরা। তবে এখনো পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং তাদের কোনো দাবি জানায়নি; জানান কমোডর এম মাকসুদ আলম।

“ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে;” বলেন কমোডর এম মাকসুদ আলম।

লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুদের পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ, গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে, জাহাজটিকে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।

মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।

XS
SM
MD
LG