বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী রবিবার (১৭ মার্চ)। বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপনের পাশাপাশি, জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। এটি, সরকারি ছুটির দিন।
দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ; টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ; গার্ড অফ অনার প্রদান ও দোয়া মাহফিল। এ ছাড়া রয়েছে, জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এই মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু হয়ে আছেন বাঙালি জাতির প্রেরণার চিরন্তন উৎস। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু নীতি ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দেশের সব শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগার থেকে এবং কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন করেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্র, পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।
দিবসটি উদযাপনে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।