অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের জামিন


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা আমান উল্লাহ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা আমান উল্লাহ

বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

তবে বিদেশ যেতে হলে তাঁকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন আমান উল্লাহ আমান।

জামিন আবেদনের পাশাপাশি খালাস চেয়েছেন তিনি।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তাঁর স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত–১।

এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তাঁরা। ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।

আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

এ ছাড়া, এ রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতের গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আমানউল্লাহ আমান ও সাবেরা আমানকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই বছর ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমান উল্লাহ আমান। আত্মসমর্পণের পর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিশেষ জজ আদালত–১। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

XS
SM
MD
LG