ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম আচেহ প্রদেশের মিউলাবহ উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা ডুবিতে বহুসংখ্যক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
এ বিষয়ে সংস্থা দুটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পরিচালিত উদ্ধার অভিযানে অন্তত ৭৫ জনকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর ও আইওএম বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করছে।
এবিষয়ে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর এবংআইওএম। বলেছে, কারণ, উদ্ধার হওয়া শরণার্থীরা জানিয়েছেন যে নৌকায় মোট ১৫১ জন ছিলো।
শুক্রবার (২২ মার্চ) ইউএনএইচসিআর বলেছে, বিষয়টি নিশ্চিত হলে, তা হবে এ বছরের সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে; ২০ মার্চ পশ্চিম আচেহ’র স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে স্থানীয় জেলেরা ৬ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে বলে জানায়। সেই দিন সকালের দিকে উপকূল থেকে প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পরে, বান্দা আচেহ থেকে জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা অভিযান শুরু করে এবং ডুবে যাওয়া নৌকাটি ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএম দলকে পশ্চিম আচেহে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।
ইন্দোনেশিয়ায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌকায় আগমনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো। শুধু ২০২৩ সালে ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে দেশটিতে।
গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে উল্লেখযোগ্য হারে এই সংখ্যা বেড়েছে; যা আগের ৪ বছরের মোট আগমনের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএম ইন্দোনেশিয়ায় আগত শরণার্থীদের জরুরি মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা জোরদার করছে।