অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক


ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে 'ব্রিজ টু সাকসেস: অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়েজ প্রজেক্ট লার্নিং অ্যান্ড নলেজ ডিসেমিনেশন' শীর্ষক অনুষ্ঠান।
ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে 'ব্রিজ টু সাকসেস: অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়েজ প্রজেক্ট লার্নিং অ্যান্ড নলেজ ডিসেমিনেশন' শীর্ষক অনুষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ১ হাজার ২০০ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ব্র্যাক।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে 'ব্রিজ টু সাকসেস: অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়েজ প্রজেক্ট লার্নিং অ্যান্ড নলেজ ডিসেমিনেশন' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি)।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অধীনে শিক্ষানবিশ হিসেবে, ‘ওস্তাদ-সাগরেদ’ পদ্ধতিতে, ব্র্যাকের স্কিলস ট্রেইনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্স (স্টার) মডেলের আওতায়, বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া তরুণ ও তরুণীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ধারণা করা হয়, এটি কর্মস্থলে প্রচলিত প্রশিক্ষণ থেকে অনেক বেশি কার্যকর।

স্টার মডেলের আওতায় 'অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়ে ফর স্কুল ড্রপআউট গার্লস ইন ক্লাইমেট ভালনারেবল রিজিওন অফ বাংলাদেশ' প্রকল্পের অধীনে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার তরুণীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডিরেক্টর অফ পাবলিক এনগেজমেন্ট শার্লিনা হুসাইন-মর্গান বলেন, “আপাতত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে; তবে এটা হলো মূলত শুরু। আমরা বাংলাদেশের বহু সংখ্যক নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই; যারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।”

ব্র্যাক এসডিপির সহযোগী পরিচালক তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান অনুষ্ঠানে এসডিপি ও স্টার মডেলের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণীদের ৭১ ভাগের বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ শতাংশ তরুণী শারীরিক প্রতিবন্ধী।

ব্র্যাকের এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ও মাইগ্রেশনের পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, এই কর্মসূচির আওতায়, গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে; বিশেষ করে বাজার ব্যবস্থা নিয়ে। “এই বাজারকে কিভাবে আরো বেশি অংশগ্রহণমূলক করা যায়, বিশেষ করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”

এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজন তরুণী অনুষ্ঠানে তাদের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া স্টার কর্মসূচির আওতায়, এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি। যাদের প্রায় ৬৪ শতাংশ নারী ও ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী।

ব্র্যাকের এই কর্মসূচির সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

XS
SM
MD
LG