বাংলাদেশের কিছু স্থানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। নারায়ণগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, বরিশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলার কয়েকটি স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপনের একদিন আগে এসব স্থানে ঈদ উদযাপন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও ফতুল্লার কয়েকটি এলাকায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় হজরত শাহ্ সুফি মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদরাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
হজরত শাহ সুফি মমতাজিয়া মাদরাসার খতিব মুফতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন শুভ জানান, হানাফির মাজহাবের মতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করার বিধান রয়েছে। তারা হযরত হানাফি (রা.) মাজহাবের অনুসারী। জাহাগিরিয়া তরিকার অনুসারীরা গত ১০০ বছর আগ থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা অনুযায়ী ঈদ পালন করে আসছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজীবপুর ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৪টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের ঈদের জামাত আদায় করেছেন মুসল্লীরা। আলাদা আলাদা ঈদ জামাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
ঈদের জামাত আদায় করা রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়ন গয়টা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল মোত্তালেব বলেন, আমরা প্রায় ৫ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা রাখা, ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।
ঝিনাইদহ জেলায় বুধবার সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হজরতের মিল চত্বরসহ কয়েকটি এলাকায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা।
চাঁদপুরে জেলার হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, কচুয়া ও শাহরাস্তির ৪০টি গ্রামের মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন।
বরিশাল জেলা শহরের সাগরদী তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকায় জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজীয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত নামাজে কয়েক শ মুসল্লি অংশ নেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘিসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়।
দিনাজপুর জেলায় পৃথক স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা। সকাল পৌনে ৮টায় দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়াও বিরল উপজেলার কামদেবপুর, কাজীপাড়া, ভারাডাঙ্গী, কাহারোলের মুকুন্দপুর, চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন প্রায় ২ হাজার মুসল্লি।
