বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ–উদ্দীপনায় উদ্যাপিত হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
আনন্দ-উৎসবের আমেজে রাজধানী ঢাকার জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদগাহে পৌঁছলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তাঁকে স্বাগত জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক এবং বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং বরেণ্য ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দেশের কল্যাণে বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের কালরাতে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে ঈদগাহে জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৭টায়। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া, সারাদেশে মুসলমানরা ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের উৎসব উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকার লাখ লাখ বাসিন্দা গ্রামে গেছেন।
ঈদ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।