অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিতে ‘দীর্ঘ আলোচনা’ নয়, দ্রুত পদক্ষেপ চান জেলেন্সকি


ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের লিপসি গ্রামে রুশ আক্রমণের মধ্যে রাশিয়ার বিমান হামলাস্থলে স্থানীয় এক বাসিন্দা। ফটোঃ ১০ এপ্রিল, ২০২৪।
ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের লিপসি গ্রামে রুশ আক্রমণের মধ্যে রাশিয়ার বিমান হামলাস্থলে স্থানীয় এক বাসিন্দা। ফটোঃ ১০ এপ্রিল, ২০২৪।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার দেশকে সামরিক, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা খাতে সাহায্যদানের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার। আকাশপথে রাশিয়ার নৈশ হামলার পর এমন আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়া ৪২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ওই হামলায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলেন্সকি বলেন, “শুধু ইউক্রেন নয়, আমাদের মিত্রদের সংকল্পের উপরও যদি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ‘শাহেদ’ ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে এতে সন্ত্রাস বৈশ্বিক ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা সহায়তা দরকার। শুধুমাত্র চোখ বন্ধ রেখে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে গেলে হবে না।”

জেলেন্সকি বলেন, সর্বশেষ হামলায় খারকিভ, কিয়েভ, জাপোরিঝিয়া, লিভিউ ও ওডেসা অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “রুশ সন্ত্রাসীরা আবার জরুরি অবকাঠামোকে নিশানা করেছে।”

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, সে দেশের বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ রাশিয়ার নিক্ষেপ করা ৪০টি ড্রোনের মধ্যে ৩৯টি গুলি করে নামিয়েছে এবং ৪২টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৮টি ধ্বংস করেছে।

ইউক্রেনের বৈদ্যুতিন গ্রিড পরিচালক সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রুশ হামলায় তাদের পাঁচটি পৃথক অঞ্চলের বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেয়ুবভ বলেন, এই শহরকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। রুশ হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুৎ অবকাঠামো। এই হামলার ফলে ২ লক্ষের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ পরিষেবা হারিয়েছেন।

লিভিউয়ের আঞ্চলিক গভর্নর মাকসিম কোজিতস্কি জানিয়েছেন, ওই হামলার ফলে একটি গ্যাস প্রতিষ্ঠান ও একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনে আগুন লেগে গেছে। ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপারও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগার খবর জানিয়েছেন।

সুইজারল্যান্ড বুধবার বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার দুই বছরব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে জুন মাসে তারা একটি উচ্চ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করবে, তবে তারা স্বীকার করেছে যে, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।

এই সম্মেলন চলতি বছরের ১৫-১৬ জুন লুসার্নের কাছে বার্গেনস্টক রিসর্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কয়েক ডজন দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এতে যোগ দিতে পারেন। সুইজ দৈনিক ন্যু জারখার জিটাং জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রধান বৈশ্বিক সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন। তবে, ওয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জেলেন্সকি বুধবার তার দৈনন্দিন ভাষণে বলেন, যুদ্ধের ন্যায্য সমাপ্তির অংশ হিসেবে নিজেদের আকাশপথ, ভূমি ও জলসীমা রক্ষা করতে ইউক্রেনকে অবশ্যই সক্ষম হতে হবে। তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলির কোনওটিতে ভুল করার অধিকার আমাদের নেই।”

XS
SM
MD
LG