অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: ‘গবেষণা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণামূলক কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, “গবেষণা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আগে খাদ্য নিরাপত্তা, তারপর পুষ্টি নিশ্চিত করা। “… এবং আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গবেষণায় অগ্রাধিকার দিয়েছি, যেহেতু তা ছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাত উৎপাদন সম্ভব নয়।”

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য এবং মাছ ও মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করে বলেন, “… দেশে আমিষের উৎপাদন বাড়াতে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”

তিনি দেশে পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “(এ ব্যাপারে) সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।”

তিনি মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মৎস্য ও গবাদিপশুর জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেন।

শেখ হাসিনা কৃষি উৎপাদন এবং এর প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করারও আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন এবং সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে ব্লু ইকোনমির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে। “কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে সক্ষম হইনি।”

তিনি বলেন, “আসলে আমরা এ কাজের জন্য কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের (বিপিআইসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও প্রাণিসম্পদ সচিব সেলিম উদ্দিন বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে দেশের প্রাণিসম্পদের বৈচিত্র্য প্রদর্শনের জন্য ২৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্যাভিলিয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য নির্ধারিত।

প্রদর্শনী সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রদর্শনী দেখার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগবে না।

ঢাকা ছাড়াও ৪৬৬টি উপজেলাতেও একযোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিরা তাদের গবাদিপশু ও পাখি প্রদর্শনের জন্য এতে যোগ দিয়েছেন।

আয়োজকেরা আরও জানান, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাবেন।

XS
SM
MD
LG