অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ ভাবনা আজ কতটা প্রাসঙ্গিক?


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলাদেশ বয়া ভারত তো বটেই সমগ্র বিশ্ব জুড়ে সংস্কৃতিমনা মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিরা বুধবার মহা সমারোহে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন করছে।

সংশয় জাগে, এই উদযাপন ক্রমশঃই বড় আলঙ্কারিক হয়ে উঠছে না তো! রবীন্দ্র-পূজার আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন না তো এই মহামানব? হইহুল্লোড়ে আমরা যতখানি মেতে উঠি ঠিক ততখানি বিশ্বস্ত থাকি কি রবীন্দ্রনাথ যা বলে গেছেন তাঁর সেই চিন্তনের প্রতি? ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বক্তব্যগুলিকে কি বিন্দুমাত্রও সচেতনভাবে গ্রহণ করেছি আমরা? এমনকী এই নগর সভ্যতার কলুষতা, আমাদের এই প্রকৃতি বিমুখতা যে কী বিপদ বয়ে আনছে— সেই বিষয়ে মানুষটি যে সকল সাবধানবাণী উচ্চারণ করে গেছেন আমরা কি সেই ব্যাপারে সামান্যতম সতর্কতা অবলম্বন করেছি?

মানুষ যেমন হয়েছে তেমন নয়, মানুষ যেমন হতে পারত তেমন এক আদল রবীন্দ্রনাথ খুঁজেছেন প্রায় সমস্ত জীবন ধরে। মানুষের চারপাশটা যেমন আছে তেমন নয়, যেমন হলে হতে পারত মানুষের পূর্ণতার বিকাশ, সেই এক ছবির বুনন তৈরি করতে চেয়েছেন কবি তাঁর জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত।

'জীবনযাত্রার জটিলতার সঙ্গে সঙ্গে' প্রকৃতির সঙ্গে স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দ সম্পর্ক বিনষ্ট হয়, বিচ্ছেদ বেড়ে চলে। পরিবেশ বিপর্যয়ে জীবনযাত্রা রচনার গুরুত্ব যথেষ্টই। এই সব প্রসঙ্গ আবার নতুন করে তাই ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যেকার বিস্তর ফারাক প্রকৃতি থেকে মানুষকে আরও বিচ্ছিন্ন করে চলেছে। নানান আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের মতো বড় ব্যাধি সৃষ্টি করে চলেছে । সামগ্রিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ প্রশ্নে নগর ও গ্রামের সত্য সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠার দিকটি আজ গভীর চর্চার বিষয়।

বর্তমানকালের পরিবেশ বিপর্যয়ের মাঝে গোটা বিশ্ব জুড়েই পরিবেশ সহায়ক মানবিক বাসভূমি নির্মাণের প্রসঙ্গই বারে বারে উঠেছে। সংগত কারণেই ভয়াবহ বায়ুদূষণ, জলদূষণ, বর্জ্য নিক্ষেপণ, শব্দদূষণ, দৃশ্যদূষণ প্রভৃতির নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত পরিকল্পনার পাশাপাশি মানব আচরণের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়েও আলোড়ন উঠেছে। মানবিক, আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও কর্মের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের পরিবেশবান্ধব নির্মাণ ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

বর্তমান পরিবেশ সংকটে মানব অস্তিত্বের বিপন্নতার মাঝে ১৯১৬তে ‘জাপান যাত্রী’-র অভিজ্ঞতাটি হয়তো আর নিছকই একটি ডায়রি থাকে না, দেখা দেয় সতর্কবার্তার প্রত্যক্ষ স্তম্ভ-রূপে। নদীপথে যেতে যেতে ১৯১৬ সালে ‘জাপান যাত্রী’-তে শহর ও তার কাছের নদী ও মানুষের নিত্য সম্বন্ধের মত অত্যন্ত জরুরি দিকগুলির প্রসঙ্গও আলোচনা করেছেন, -- ‘... পৃথিবীতে যেসব শহর সত্য তা মানুষের মমতার দ্বারা তৈরি হয়ে উঠেছে। দিল্লি বল, আগ্রা বল, কাশী বল, মানুষের আনন্দ তাকে সৃষ্টি করে তুলেছে। কিন্তু বাণিজ্য-লক্ষ্মী নির্মম, তার পায়ের নীচে মানুষের মানসসরোবরের সৌন্দর্য শতদল ফোটে না। মানুষের দিকে সে তাকায় না, সে কেবল দ্রব্যকে চায়, যন্ত্র তার বাহন। গঙ্গা দিয়ে যখন আমাদের জাহাজ আসছিল, তখন বাণিজ্যশ্রীর নির্লজ্জ নির্দয়তা নদীর দুই ধারে দেখতে দেখতে এসেছি। ওর মনে প্রীতি নেই বলেই বাংলাদেশের এমন সুন্দর গঙ্গার ধারকে এত অনায়াসে নষ্ট করতে পেরেছে।’

কত অব্যর্থ সত্য দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথ ভবিষ্যৎকে দেখেছিলেন। আমরা শহরবাসীরা অমন সুন্দর গঙ্গা নদী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। শহর পিছনে ফেলে দিয়েছে তার আপন ঐতিহ্যকে। গঙ্গার পাড় দখলে, আবর্জনায় ত্রস্ত। আমাদের আজকের জীবনে গঙ্গা সংস্কৃতি তাই অনুপস্থিত।

সপ্ততিবর্ষ পরিসমাপ্তি উপলক্ষে কলকাতা মহানগরীর পৌরবৃন্দের অভিবাদনের উত্তরে, ১৯৩১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, রবীন্দ্রনাথ, বাসভূমির জনস্বাস্থ্য, জনস্বাচ্ছন্দ্য-ব্যবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন l ‘পৌরকল্যাণ সাধনে’ শিল্প-শিক্ষা-সংস্কৃতির ভূমিকাকে রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন নগরীর চরিত্র নির্মাণের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসাবে সেই দিন অল্প কথায় তিনি যে সারকথাগুলি বলেছিলেন, আজকের প্রযুক্তি-সংস্কৃতি চর্চায় আবারও সেই কথাগুলিকেই অপরিহার্য সমাধান সূত্র হিসাবে দেখতে হবে। ‘.. এই পুরসভা আমার জন্মনগরীকে আরামে আরোগ্য আত্মসম্মানে চরিতার্থ করুক; ইহার প্রবর্তনায় চিত্রে, স্থাপত্যে, গীতিকলায়, শিল্পে এখানকার লোকালয় নন্দিত হউক, সর্বপ্রকার মলিনতার সঙ্গে অশিক্ষার কলঙ্ক এই নগরী স্খালন করিয়া দিক, - পুরবাসীদের দেহে শক্তি আসুক, গৃহে অন্ন, মনে উদ্যম, পৌরকল্যাণ সাধনে আনন্দিত উৎসাহ ভ্রাতৃবিরোধ বিষাক্ত আত্মহিংসার পাপ ইহাকে কলুষিত না করুক -শুভবুদ্ধি দ্বারা এখানকার সকল জাতি, সকল ধর্ম সম্প্রদায় সম্মিলিত হইয়া এই নগরীর চরিত্রকে অমলিন ও শান্তিকে অবিচলিত করিয়া রাখুক - এই কামনা করি।’

বাসস্থানের অধিকারভেদের মতন অত্যন্ত গুরুতর প্রশ্নও তিনি তুলেছিলেন l বসবাসের যোগ্যতার প্রশ্নে, মানুষের আচরণের দিকটিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে লোকালয়ে, নগরে, গ্রামে গঞ্জে, আজ কী বিপুল প্রয়াসই না চালাতে হচ্ছে l জন-সচেতনতা গড়ে তোলার বিশাল কর্মযজ্ঞের মূল কথাটাই হল সাধারণ মানুষকে আরও দায়িত্ববান করে তোলা। আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেই শুধু হবে না, বাসস্থানকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার যোগ্যতাও অর্জন করা চাই। দায়িত্বপালনে যোগ্যতারও একটা প্রশ্ন থাকে, তা কুটিরেই হোক বা শহরে - সমানভাবে প্রযোজ্য। বিশ্বব্যাপী জনজীবনে এখন তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে হচ্ছে।

জল-প্রাণ-জনস্বাস্থ্য আমাদের জীবনে মিলেমিশে আছে l রবীন্দ্রনাথ, ‘আপন প্রাণাত্মবোধের পরিচয়’টিকে দেশের জনকল্যাণের বৃহত্তর পটভূমিকায় দেখতে চেয়েছিলেন l ‘ধরণীর অন্তঃপুরগত সম্পদ’ জীবজন্তু ও সমস্ত প্রাণসম্পদকে ফিরে পাওয়ার সাধনাকে তিনি ‘সকল সাধনা’র গোড়ার কাজ বলেছিলেন, ‘এই সহজ কথাটি স্বীকার করবার শুভদিন বোধ হচ্ছে আজ অনেককাল পরে এসেছে।’

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন, হয়তো আজ অনেকাংশেই একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান মাত্রে পরিণত হয়েছে l ১৯৭২ সালে স্টকহোম বিশ্বসম্মেলনে পরিবেশ সম্পদ রক্ষার যে সংকল্প নেওয়া হয়েছিল, তাকে পৃথিবীর সর্বত্রব্যাপী এখনও করা যায়নি। ‘রিও’-তে অতি সাম্প্রতিককালে বসুন্ধরা সম্মেলন এবং জি-৭ বৈঠকে, দূষণরোধে মতানৈক্য সেই কথাই প্রমাণ করে। তাই সকল সাধনার গোড়ার সাধনা হিসেবে গ্রহণ করার ‘শুভদিন’ এখনও প্রতীক্ষায় রয়ে গেছে। আজও দূষণের আক্রমণে জলরাশি আক্রান্ত হয়ে চলেছে। ‘আত্মঘাতিনী মাটি আপন বুকের সরসতা হারিয়ে রিক্তমূর্তি ধারণ’ করেছে। ‘বস্তুকোলাহলপূর্ণ’ বিপন্ন পরিবেশে আক্রান্ত মানুষ, অরণ্যভূমি ও প্রাণীজগৎ। জনশক্তি সমবায়ের দ্বারা পরিবেশ পুনর্নির্মাণের একটি দৃষ্টান্ত সেদিন ভুবনডাঙায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের মানুষের চেতনার উদ্রেক করে ভূমি ও পরিবেশ সংরক্ষণের কমিটির মধ্যে প্রাণাত্মবোধের পরিচয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবিহৃদয় থেকে একে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন এই বলে ‘এর অজস্র দানে চারদিক স্বাস্থ্যে সৌন্দর্যে পূর্ণ হয়ে উঠুক।’

‘ছিন্নপত্রাবলী’-র সময় থেকে রবীন্দ্রনাথ ‘প্রাণময় বিশ্বাত্মীয়তা’-র কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রকৃতি পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করেছিলেন। তাঁর প্রগাঢ় অনুভূতির জগৎ ও নিশ্চিত বিশ্বাসের বোধ থেকে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীকে একটি পত্রে লিখেছিলেন, ‘আমি একদিন সমুদ্রস্নানসিক্ত তরুণ পৃথিবীতে গাছ হইয়া পল্লবিত হইয়া উঠিয়াছিলাম। ... আমার মধ্যে গাছের প্রাণের গূঢ় স্মৃতি আছে, আজ মানুষ হইয়াছি বলিয়াই এ কথা কবুল করিতে পারিতেছি। শুধু গাছ কেন সমস্ত জড়জগতের স্মৃতি আমার মধ্যে নিহিত আছে। বিশ্বের সমস্ত স্পন্দন আমার সর্বাঙ্গে আত্মীয়তার পুলক সঞ্চার করিতেছে-- আমার প্রাণের মধ্যে তরুলতার বহু যুগের মূক আনন্দ আজ ভাষা পাইয়াছে ... আমার মধ্যে একটা বিপুল আনন্দ আছে সে এই জল স্থল গাছপালা পশুপক্ষীর আনন্দ ... ।’ বিশ্বমহিমার মধ্য দিয়ে সজীব ভক্তি ও বিস্ময়; বিশ্বের সমগ্র স্পর্শ অন্তরবীণায় নব স্পন্দন আনে। তিনি বিশ্বাস করতেন। সেই যেন তাঁর ‘আত্মপরিচয়’। ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তেই ‘জলরেখাবলয়িত’ পৃথিবীর সঙ্গে মানব একাত্মতার নানান অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। ‘সুদূরবিস্তৃত শ্যামল অঙ্গের প্রত্যেক রোমকূপ থেকে যৌবনের সুগন্ধ উত্তাপ’ সেই বৃহৎ জীবনীশক্তি। ‘তাঁর এই যে মনের ভাব, এ যেন এই ‘প্রতিনিয়ত অঙ্কুরিত মুকুলিত পুলকিত সূর্যস্নাত আদিম পৃথিবীর ভাব। যেন আমার এই চেতনার প্রবাহ পৃথিবীর প্রত্যেক ঘাসে এবং গাছের শিকড়ে শিরায় ধীরে ধীরে প্রবাহিত হচ্ছে ... ।’ পৃথিবীকে তিনি দেখেছেন, জেনেছেন 'অনেক জন্মকার ভালবাসার মতো। এ মস্ত সপ্রাণ ভাব, বৃহৎ সত্য অনুভূতি। এই প্রাণ মনের প্রত্যক্ষ অভিব্যক্তিই আজ বিশ্ব পরিবেশ সংকট মোকাবিলায় আধুনিককালের বিজ্ঞানে প্রধানতম বিষয়। এই বসুন্ধরাকে প্রবল প্রাণ রূপে এখন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীরাও দেখতে চাইছেন। সমগ্র বায়ুমণ্ডল আর প্রাণলোক নিয়ে পৃথিবী সমগ্রভাবে এক সপ্রাণ অস্তিত্ব। এই শতকের একেবারে গোড়ায় ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ অন্যতম বিজ্ঞানী শ্রেষ্ঠ জগদীশচন্দ্র বসুকে লিখেছিলেন, মানবিক আচরণের মাধ্যমে, রোমাঞ্চকর সক্রিয়তায়, বিশ্বাসযোগ্য পরিস্থিতির সৃষ্টির কথা। প্রয়োজন এক নতুন সামগ্রিক জীবনদর্শনের যা মানুষকে দেখবে জল, মাটি, হাওয়া এবং জীববৈচিত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। পরিবেশ ও প্রাণীজগতের আন্তঃসম্পর্ক এবং মানুষের ভূমিকা, প্রাকৃতিক ইকোব্যবস্থার বাস্তু সংস্থান ও সংরক্ষণ কাজে, সমন্বয়ী বিদ্যাচর্চার দ্বারা সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির খোঁজ চলেছে আজ দিকে দিকে। জীবনযাত্রার উন্নত অবস্থাকে অব্যাহত রাখতে, সমগ্র প্রাণীজগৎকে একটি বৃহৎ প্রাণ রূপে গ্রহণ করাই এখন প্রয়োগবিদদের কাছে মস্ত চ্যালেঞ্জ। মানুষ-প্রকৃতি এক অখন্ড সত্তা। এই নব চেতনার উদ্বোধনে মূল্যবোধসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গিই গড়ে তুলবে মানবিক পরিবেশ সংস্কৃতি। এমনই প্রেক্ষাপটে আগামী শতকের মানবপ্রহরী ‘প্রয়োগবিদ রবীন্দ্রনাথ’ এর চর্চাই হয়তো সবথেকে বেশি আকাঙ্খিত। ভবিষ্যতের নিবিড় স্পর্শ অনুভবে ১৯৪১ এর শেষ 'জন্মদিন'এ লিখেছেন --
‘আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার যত ওঠে ধ্বনি,
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনই ..’

এই ধ্বনি শোনা ও অনুভব করা এবং সাড়া দেওয়ার সাধনই আজ অন্তরময় পরিবেশ সাধনার বড়ো আদর্শ। আজ সমন্বয়ী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার আলোকে ভবিষৎমুখী রবীন্দ্রনাথকে আরও নিবিড়ভাবে গ্রহণ করে মানবিক সমন্বয়ী পরিবেশ পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করে দেখতে হবে । সুপরিবেশ স্বাস্থ্য গড়ে তোলা আজ সমগ্র মানবজাতির কাছে সবচাইতে বড়ো কাজ। রবীন্দ্রনাথ মানবিক বাসভূমি নির্মাণে ও পরিবেশ সৃষ্টিতে মানবিক মূল্যবোধের যে প্রয়োগক্ষেত্র রচনা করেছিলেন মানব ইতিহাসে তার গুরুত্ব আজ অপরিসীম ।

XS
SM
MD
LG