অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন নাহিদ ইসলামের মা, মমতাজ নাহার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের মা মমতাজ নাহার ডিবি পুলিশের হেফাজতে নাহিদকে নির্যাতন করা হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন।

রবিবার (২৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে মমতাজ নাহার সাংবাদিকদের বলেন, "ডিবি বলছে নিরাপত্তার কারণে তাদের কাছে রেখেছে। সন্তান মা-বাবার কাছে নিরাপদ। ডিবি অফিসে কিসের নিরাপত্তা?"

মমতাজ নাহার আরও অভিযোগ করেন, তাঁরা নাহিদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তাঁদের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রবিবার (২৮ জুলাই) জানান যে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি; হেফাজতে আছে। “তারা ঝুঁকি মুক্ত হলেই, ছেড়ে দিতে পারবো কি না, হিসাব-নিকাশ করছি। পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত, তাহলে তখনই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করিনি;” যোগ করেন তিনি।

রবিবার (২৮ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন বলেন, “সমন্বয়কারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি এবং তাদের পরিবারকেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করতে হবে।”

তাদের কতদিন হেফাজতে রাখা হবে, জানতে চাইলে হারুন বলেন, “এ বিষয়ে আমরা সমন্বয়কারী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবো।”

গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

এর আগে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন রাষ্ট্রীয় কোন এক বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে।

নাহিদ ইসলামকে রবিবার চোখ বাধা অবস্থায় রবিবার (২১ জুলাই) পাওয়া যায়।

সেসময় তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি অভিযোগ করেন গত পরশু রাতে রাষ্ট্রীয় কোন এক বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, "...জিজ্ঞাসাবাদ খুব বেশিদূর এগোয়নি। আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে...আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।"

লাইভ ব্লগ: https://www.voabangla.com/a/7703226.html


XS
SM
MD
LG