অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পানীয় জলে আর্সেনিকের দুষণ বাংলাদেশে ব্যাপক


পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রলয়ংকরী বন্যা, ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে অতি বৃষ্টি – কোথাও আবার খরা, বাংলাদেশেও কিছু কিছু অংশে বন্যার ঢল – পানীয় জলের বিশুদ্ধতাকে হুমকিগ্রস্ত করেছে। ইতঃমধ্যে বিশ্বজুড়ে শুরূ হয়েছে পানি-সপ্তাহ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত জর্জ মেসান ইউনিভার্সিটির রসায়ন ও জীব-রসায়ন বিদ্যার অধ্যাপক এবং ক্লিন সাসটেইনেবল্ ওয়াটার সেন্টারের পরিচালক এবং পানি বিশুদ্ধকরন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত ডক্টর আবূল হুসাম ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে, বাংলাদেশে আর্সেনিক দুষণ, এই পানীয় জলের নিরাপদ অবস্থানটাকে কতোখানি বিঘ্নিত করছে সে বিষয়ে তার বক্তব্য রাখেন।

ল্যানসেট সাময়িকীতে ২ হাজার দশ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত এক জরীপে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটি থেকে নিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটির মতো মানুষ পানীয় জলের মধ্যে দিয়ে আর্সেনিক দুষণে সংক্রমিত হয়েছেন। পানীয় জলে আর্সেনিকের দুষণ বাংলাদেশে এতোই ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির রসায়ন ও জীব-রসায়ন বিদ্যার অধ্যাপক এবং ক্লিন সাসটেইনেবল্ ওয়াটার সেন্টারের পরিচালক, পানি গবেষনায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পূরস্কারে ভূষিত ডক্টর আবূল হুসামও মনে করেন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই আর্সেনিক সংক্রমনের আওতায় পড়ে।

এ সংক্রমনের উপসর্গগুলো সম্পর্কে তিনি তিনি বলেন যে এ সংক্রমন থেকে ত্বকের ও যকৃতের ক্যান্সার হতে পারে এবং তাতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও হতে পারে। প্রফেসার আবূল হুসাম পানি নিয়ে গবেষনা করেছেন, clean sustainable water নিয়ে কাজ করেছেন বিস্তর – আর্সেনিক দুষণের দৈহিক ও মানষিক প্রতিক্রিয়া বিপর্যয়কর হতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, সাধারণভাবে, বাংলাদেশে গরীব শ্রেনীর মানুষজনই আর্সেনিকোসিস সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

ডক্টর আবূল হুসাম বলেন আর্সেনিক সমস্যার বিহিত করতে বাংলাদেশ, বাইরের কোনো সাহায্য-সহায়তা ছাড়াই, নিজের বিঞ্জানী-গবেষকদের নিয়ে সাফল্যজনকভাবে কাজ করতে পারে ।

প্রফেসার আবূল হূসাম মনে করেন, গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক এলাকার পানীয় জল আর্সেনিক দুষণমুক্ত করতে খরচ বিস্তর – বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে এ ব্যয় মেটানো সত্যিই অসম্ভব প্রায়।

XS
SM
MD
LG