শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আফগানিস্তানে সহিংসতা সমাধানের জন্য তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন যে, ইসলামাবাদ প্রতিবেশী দেশটিতে বৈরিতা বৃদ্ধির জন্য তালিবানদের সহিংস বিদ্রোহকে সমর্থন করছে।
উজবেকিস্তান আয়োজিত আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্মেলনে ইমরান খান বক্তব্য রাখেন।তার কিছুক্ষণ আগে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ঐ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় যুদ্ধে "নেতিবাচক" ভূমিকা নেয়ার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আফগান নেতা বলেন "গোয়েন্দাদের জরিপের প্রেক্ষিতে অনুমান করা হচ্ছে গত মাসে পাকিস্তান এবং অন্যান্য স্থান থেকে দশ হাজারেরও বেশি জিহাদি যোদ্ধারা আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছে।" গনি অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের পরেও খানের সরকার আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে "গুরুত্বে৬র সাথে আলোচনার জন্য" তালিবানকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইমরান খান বলেন তিনি আফগান প্রেসিডেন্টের অভিযোগে হতাশ হয়েছেন এবং বলেন তার অভিযোগ "অন্যায্য।" ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব যুদ্ধে গত ১৫ বছরে পাকিস্তান ৭০,০০০ লোক নিহত হয়েছে। ইমরান খান বলেন, প্রতিবেশী দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তাঁর দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলবে।
ইমরান খান বলেন, "প্রেসিডেন্ট গনি, আমি কেবল এটিই বলতে পারি যে আফগানিস্তানে অশান্তি বিরাজ করলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে অশান্তি বা দ্বন্দ্ব কোনটিই চায় না পাকিস্তান।"
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন তালিবানদেরকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য পাকিস্তানের চেয়ে অন্য আর কোনও দেশ এতো বেশি চেষ্টা করেনি।"শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করার জন্য পাকিস্তানে অবস্থানরত তালিবান নেতাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া ব্যতীত বাকি সবধরণের চেষ্টাই পাকিস্তান করেছে"