অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করেছে পাকিস্তান


কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসের কাছে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে আফগান মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন। পাশে একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারায় দাঁড়িয়ে আছেন। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসের কাছে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে আফগান মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন। পাশে একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারায় দাঁড়িয়ে আছেন। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।

সোমবার আফগানিস্তানের তালিবান বলেছে যে তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ রোধে দুই দেশের সীমান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহ পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।

তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ কাবুলে সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামাবাদ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য সপ্তাহান্তে আফগানিস্তান সফর করেছে। পাকিস্তানি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই এর প্রধান জেনারেল ফয়েজ হামিদ।

মুজাহিদ বলেন, সফরকারীরা তালিবানের আফগানিস্তান দখলের সময় একাধিক কারাবন্দি পালিয়ে যাওয়া এবং পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় জড়িত শত শত বন্দির মুক্তির বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।তিনি বলেন, তালিবান প্রতিনিধি দলটিকে আশ্বস্ত করেছে যে কাউকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

মুজাহিদ বলেন, “এটাও আলোচনা করা হয়েছে যে সীমান্তের গেটে তাদের তথ্য অনুযায়ী, যারা পাকিস্তানের ক্ষতি করতে চায় তাদের শনাক্ত করার জন্য তল্লাশি বা তদন্ত করা হবে। তাদের সম্পর্কে কোন তথ্য আমাদের জানা নেই কারণ আমরা এই নতুন পরিস্থিতির মোকাবেলা করছি এবং এরই মধ্যে কারাগারের দরজাগুলো খোলাই ছিল।

মুজাহিদ বলেন যে তার পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রোগী, শরণার্থী পরিবার এবং কাজের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রমকারী দৈনিক মজুরসহ আফগানিস্তানের ভ্রমণকারীদের কথা বিবেচনা করে সীমান্ত যেন বন্ধ না করা হয়।

ইসলামাবাদের সরকারি সূত্রগুলি ভিওএকে জানিয়েছে, আইএসআই প্রধান তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং "সামগ্রিক নিরাপত্তা সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য কাবুলে গেছেন।তারা নিশ্চিত করতে চান যে লুণ্ঠনকারী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি যেন পরিস্থিতির সুযোগ না নেয়।"গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা বলার জন্য তাদের অনুমতি না থাকার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ সূত্রগুলি এই তথ্য জানিয়েছে।


২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আল-কায়েদার পরিকল্পনাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী ইসলামপন্থি আন্দোলনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রায় ২০ বছর পর গত মাসে তালিবান আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত জঙ্গি জোটের নেতারা সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলার জন্য অস্থিতিশীল আফগান এলাকাগুলোকে তাদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করে।

তালিবানের বিস্ময়কর বিজয়ে আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের পতন ঘটে যার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল ছিল না। আর তালিবানের ঐ বিজয়ের ফলেই ১৫ই আগস্ট ঐ ইসলামপন্থি আন্দোলন কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।

XS
SM
MD
LG