অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

স্রোতের বিপরীতে পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরনার্থীরা স্বদেশে ফিরে যেতে চান


পাকিস্তানের চামন, সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট নিরাপত্তা বাধা অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করছে আফগানরা।২৬ আগস্ট, ২০২১।
পাকিস্তানের চামন, সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট নিরাপত্তা বাধা অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করছে আফগানরা।২৬ আগস্ট, ২০২১।

নিজ দেশ আফগানিস্তানের দক্ষিণে স্পিন বোল্ডাকের দিকে তাকিয়ে আছে প্রায় ২০০ আফগান শরণার্থী।কার্পেট, বিছানা, কাপড় এমনকি ছাগলও ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।এখন পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর তালিবানের দ্রুত অধিগ্রহণের পর আরেকটি কঠোর শাসনের আতংকে হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যা কাবুল বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খল চিত্রে উঠে এসেছে।

তবে কিছু পরিবার তাদের নিজ দেশেই ফিরে যেতে চান। তাদের ধারণা যে তালিবান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্থিতিশীলতা আনবে। সীমান্তে অপেক্ষা করার সময় মোলভী শাইব এএফপিকে বলেন "আমরা বোমা হামলা এবং কষ্টের সময়ে আফগানিস্তান থেকে চলে এসেছি, যখন মুসলমানরা সমস্যায় ছিল, এখন আল্লাহর রহমতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তাই আমরা আফগানিস্তানে ফিরে যাচ্ছি।"

কাঁটাতারে ঘেরা ১০ ফুট গভীর খাদ পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে চামন থেকে স্পিন বোল্ডাককে আলাদা করেছে। প্রতিদিন সেই পাহাড়ি সীমানার বাণিজ্যিক পথ অতিক্রম করছে হাজার হাজার মানুষ।তালিবানের কঠোর শাসন থেকে নিষ্কৃতি পেতে হাজার হাজার মানুষ পালানোর চেষ্টা করার কারণে পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে প্রক্রিয়াটি আরও কঠোর করেছে।

মুহাম্মদ নবী বলেন, "মানুষ ফিরতে চায় কিন্তু তাদের পার হতে দেওয়া হয় না, আমরা পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করি আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি দিন কারণ এখন দেশে যুদ্ধ নেই এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আমাদের পরিবারের নারী এবং বাচ্চারা অপেক্ষা করছে - আমরা চাই তারা সীমান্ত অতিক্রম করুক।"

চল্লিশ বছর আগে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে পাকিস্তান ২০ লক্ষেরও বেশি আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। সংঘাতের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সংখ্যাটিও ওঠানামা করেছে।কিন্তু পাকিস্তান এখন জানিয়েছে যে তারা আর কোন শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারছেনা।

বাস্তুচ্যুত আফগানরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছে যে তারা কর্মসংস্থান এবং নাগরিকত্বের অধিকার না পেয়ে অবাঞ্ছিত বোধ করছে।

অনেকেই দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক দোষারোপের খেলায় গুটি হিসেবে পরিণত হয়েছে। যারা একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠীকে সাহায্য করার অভিযোগ করেছে। ইসলামাবাদকে দীর্ঘদিন ধরে তালিবানদের রক্ষক হিসেবে দেখা হয়েছে। কাবুলের নতুন শাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত মুষ্টিমেয় কয়েকটি সরকারের মধ্যে পাকিস্তান হতে পারে অন্যতম।

XS
SM
MD
LG