বাংলাদেশে রবিবার রাত ও সোমবার হেফাজতে ইসলামের সদস্যদের ওপর পুলিশী অভিযানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এই ঘটনার আশু ও সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনে, এ্যামনেস্টির এডভোকেসি ডিরেক্টার টি কুমারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রোকেয়া হায়দার
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং ১৯৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ে মৃত্যদণ্ড সম্পর্কে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার উদ্বগে প্রকাশ করেছে। এ্যামনেস্টি বিশ্বের যে কোন দেশে, যে কোন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।
ওয়াশিংটনে এ্যামনেস্টির এ্যাডভোকেসি পরিচালক টি কুমার সম্প্রতি হেফাজতের সমাবেশের ওপর পুলিশের অভিযান সম্পর্কে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হেফাজত গ্রুপের দাবীর সঙ্গে কেউ একমত নাও হতে পারে, তবে এ্যামনেস্টি মনে করে যদি অহিংস ও শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের অবস্থান নেয়, তা হলে বাংলাদেশে তাদের মতামত প্রকাশের অনুমতি দেওয়া উচিত। আর যদি এই সমাবেশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে তা হলে পুলিশের কতখানি শক্তি ব্যবহার করা উচিত সেটাও একটা প্রশ্ন’।
তিনি বলেন, এই বিশেষ ঘটনা রবিবার ও সোমবার যা ঘটেছে, আর আমরা যেমন জানি সংঘর্ষে ২জন পুলিশ সেইসঙ্গে ১জন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীসহ, ৪৪জন নিহত হয়েছে, এই সংখ্যা বাড়তেও পারে। তার বক্তব্য - ‘এটাই বাস্তব ঘটনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইসব মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী এবং কি করা উচিত? তাই আমরা নিরপেক্ষভাবে, স্বতন্ত্র এক তদন্তের অপেক্ষা করছি। অবিলম্বে তা করা উচিত এবং সেই তদন্ত কমিটিতে যারা থাকবেন তারা যেন নিরপেক্ষ হন এবং সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে পারেন’।
টি কুমার বললেন, এখানে দুটি মুল বিষয় রয়েছে – ‘একটি হলো দেখতে হবে কারা এইসব মৃত্যুর জন্য দায়ী। এবং কারা নির্ধারিত নিয়মের বাইরে শক্তি ব্যবহার করেছে। এ ক্ষেত্রে গুলী চালাবার কোন প্রয়োজন ছিল কিনা। এটি একটি বিষয়। দ্বিতীয় হলো, আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী তাজা গুলী নিয়ে বন্দুক চালানো একেবারে সর্বশেষ উপায় হওয়া উচিত। কারণ এতে করে জীবন বিপন্ন হয়। তাই সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত’।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামাত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় যে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে টি কুমার বললেন – ‘এ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল গনহত্যা ও ধর্ষণের অপরাধে যে কোন সরকারের বিচারকে স্বাগত জানায়। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা এই বিচারকে অবশ্যই সমর্থন করি তবে এ্যামনেস্টি যে কোন দেশে যে কোন অপরাধের কারণে প্রানদণ্ড সমর্থন করে না’।
এই ছিল এ্যামনেস্টির ভাষ্য।amnesty
এই বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনে, এ্যামনেস্টির এডভোকেসি ডিরেক্টার টি কুমারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রোকেয়া হায়দার
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং ১৯৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ে মৃত্যদণ্ড সম্পর্কে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার উদ্বগে প্রকাশ করেছে। এ্যামনেস্টি বিশ্বের যে কোন দেশে, যে কোন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।
ওয়াশিংটনে এ্যামনেস্টির এ্যাডভোকেসি পরিচালক টি কুমার সম্প্রতি হেফাজতের সমাবেশের ওপর পুলিশের অভিযান সম্পর্কে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হেফাজত গ্রুপের দাবীর সঙ্গে কেউ একমত নাও হতে পারে, তবে এ্যামনেস্টি মনে করে যদি অহিংস ও শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের অবস্থান নেয়, তা হলে বাংলাদেশে তাদের মতামত প্রকাশের অনুমতি দেওয়া উচিত। আর যদি এই সমাবেশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে তা হলে পুলিশের কতখানি শক্তি ব্যবহার করা উচিত সেটাও একটা প্রশ্ন’।
তিনি বলেন, এই বিশেষ ঘটনা রবিবার ও সোমবার যা ঘটেছে, আর আমরা যেমন জানি সংঘর্ষে ২জন পুলিশ সেইসঙ্গে ১জন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীসহ, ৪৪জন নিহত হয়েছে, এই সংখ্যা বাড়তেও পারে। তার বক্তব্য - ‘এটাই বাস্তব ঘটনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইসব মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী এবং কি করা উচিত? তাই আমরা নিরপেক্ষভাবে, স্বতন্ত্র এক তদন্তের অপেক্ষা করছি। অবিলম্বে তা করা উচিত এবং সেই তদন্ত কমিটিতে যারা থাকবেন তারা যেন নিরপেক্ষ হন এবং সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে পারেন’।
টি কুমার বললেন, এখানে দুটি মুল বিষয় রয়েছে – ‘একটি হলো দেখতে হবে কারা এইসব মৃত্যুর জন্য দায়ী। এবং কারা নির্ধারিত নিয়মের বাইরে শক্তি ব্যবহার করেছে। এ ক্ষেত্রে গুলী চালাবার কোন প্রয়োজন ছিল কিনা। এটি একটি বিষয়। দ্বিতীয় হলো, আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী তাজা গুলী নিয়ে বন্দুক চালানো একেবারে সর্বশেষ উপায় হওয়া উচিত। কারণ এতে করে জীবন বিপন্ন হয়। তাই সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত’।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামাত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় যে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে টি কুমার বললেন – ‘এ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল গনহত্যা ও ধর্ষণের অপরাধে যে কোন সরকারের বিচারকে স্বাগত জানায়। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা এই বিচারকে অবশ্যই সমর্থন করি তবে এ্যামনেস্টি যে কোন দেশে যে কোন অপরাধের কারণে প্রানদণ্ড সমর্থন করে না’।
এই ছিল এ্যামনেস্টির ভাষ্য।amnesty