অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু


বিলম্বে হলেও দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, গত সেপ্টেম্বরে। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আটকে গিয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০টি জেলায় এই টেস্ট করা যাবে। এই টেস্টের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করেছে কিনা তা স্বল্প সময়ের মধ্যে জানার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর ও সিলেট। আট মাস আগে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞরা আগাগোড়াই বলে আসছিলেন, পরীক্ষায় গতি আনতে অ্যান্টিজেন টেস্টের কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মিরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, পিসিআর টেস্টের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে ভুল পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। অ্যান্টিজেন টেস্ট নির্ভুলভাবে এর সমাধান দিতে পারে। তিনি অবশ্য বলেছেন, কোনো রোগী পজিটিভ হলে তাকে আবার পিসিআর টেস্ট করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার এই কার্যক্রম চালাতে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য যে, অনেক জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। প্রাথমিকভাবে সেসব জেলাকে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরুর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের মধ্যে পাঁচ দিন থেকে সাত দিন করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে তাদেরকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এই টেস্ট করা হবে। এই টেস্ট চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ওদিকে করোনায় একদিনে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৮৮ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৯ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:53 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG