আজকের কল ইন শোর বিষয় হচ্ছে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর এক বছর এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কৌশল। এ সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসা এবং আমাদের বিশেষজ্ঞ অতিথিদের জবাবের এই আয়োজনে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি । | প্রশ্ন-উত্তর পর্বে যাবার আগে আসুন দ্রুত ঘটনা পরম্পরার দিকে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক ।
আমরা জানি যে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাস্ট্রের ওপর ওসামা বিন লাদেনের নের্তৃত্বাধীন আল ক্বায়দার যে সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়েছিল , যাতে প্রাণ দিয়েছিলেন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে কয়েক হাজার অসামরিক লোক এই যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভুখন্ডে, সেই ঘটনা বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্রে নিয়ে আসে যুগ্ন্তকারী পরিবর্তন। শীতল যুদ্ধের পরে, বিশেষত এই শতকের শুরুতে যে বিশ্বায়নকে কল্পনা করা হয়েছিল সামগ্রিক ভাবে , শান্তিকে নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া হয়েছিল , সেই আশা হোঁচট খায় এই সন্ত্রাসী হামলায়। এর মূল হোতা এবং পরিকল্পনাকারী বলে যিনি নিজেই এর কৃতিত্ব নিয়েছিলেন , সেই ওসামা বিন লাদেনকে , আফগানিস্তান থেকে বহিস্কার করতে , সেই সময়কার তালিবান সরকার অস্বীকৃতি জানানোর পর , যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তার অভিযান শুরু করে, শুরু হয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই । সেই অভিযানের প্রায় দশ বছর সময়ের পর , বিন লাদেন , যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর হাতে , পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে নিহত হন।
এই ঘটনার প্রথম বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগানিস্তানে এক ঝটিকা সফরে যান এবং ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সামগ্রিক ভাবে নেটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর সে দেশের সঙ্গে
যুক্তরাস্ট্রের দশ বছর মেয়াদি একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার শীপ বা নীতিকৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি সই করেন । প্রেসিডেন্ট ওবামা কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবনে , তাঁর ভাষণে বলেন যে একত্রে এই দুটি দেশ যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তির জন্য প্রতিশ্রুত, অভিন্ন সহযোগি হিসেবে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যে আশাবাদী এ দুটি দেশ ।
মি ওবামা আরও বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে , তাতে এ দুটি দেশের মধ্যকার নতুন সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত হয়েছে।
এই নতুন সম্পর্ক , এই নীতি কৌশল , সন্ত্রাস নির্মূলে এর ভুমিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এর প্রভাব এ সব কিছুই আজকের হ্যালো ওয়াশিংটনের বিষয়।
আজ টেলিসম্মিলনী লাইনে আমাদের অতিথি প্যানেলে রয়েছেন ঢাকা থেকে প্রবীণ আইনজ্ঞ , বাংলাদেশের প্রাক্তন আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং আফগানিস্তানে মানবধিকার বিষয়ক সাবেক র্যাপটিয়ার ড কামাল হোসেন, আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ণমেন্ট এন্ড পলিটিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, আরও আছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক , বিশ্লেষক ও নিবন্ধকার আবেদ খান।