অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উদ্ধার কর্মীরা ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরি এলাকায় অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছেন


ইন্দোনেশিয়ায় রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সন্ধানে উদ্ধার কর্মীরা সে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এলাকায় অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছেন।

শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ব্যাগ ভর্তি কিছু দেহাবশেষ পাঠানো হয়। উদ্ধার কর্মীরা পরিষ্কার আবহাওয়ার সুবিধে নিয়ে মাউন্ট সালাক এলাকায় বিমানের ধ্বংসাবশেষের স্থানটিতে ব্যপকভাবে অল্লাশ অভিযান চালান। কয়েকটি হেলিকপ্টারও তাদের সাহায্যে সেখানে পৌঁছোয়।

কর্মীরা বলেন, বিমানের ধংস প্রক্রিয়া এত ভয়ানক হয়েছে যে মৃত ব্যক্তিদের সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা; সে জন্যে মৃত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ডি এন এ পরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

কর্মকর্তারা বলেন, ঘন্টায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে উড্ডয়নরত রাশ্যান জেট বিমানটি বুধবার সালাক পর্বতের চূড়ার কাছে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনায় কম পক্ষে ৫০ জন যাত্রী মারা গ্যাছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার ১০০ আসন বিশিষ্ট সুখয় সুপারজেট ১০০ বিমানটি বিক্রয় প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার বেলা দু’টার পর জাকার্তার হালিম বিমান বন্দর থেকে আকাশে ওড়ে। বিমান যাত্রিদের মধ্যে বিমান কর্মীরা ছাড়াও কয়েকজন সম্ভাব্য ক্রেতা ও সাংবাদিক ছিলেন। বিমানটির এক ঘন্টার ভেতরে ফিরে চলে আসার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ ক’রে ৩০০০ মিটার থেকে ১৮০০ মিটার নীচে নেমে যায়। ২২০০ মিটার উঁচু সালাক পর্বতের কাছে আসার পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংগে বিমানের বেতার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

কর্মকর্তারা বলেন, বিমানটি কেন নীচে নেমে যাবার অনুমতি চেয়েছিল আর কন্ট্রোলাররা সেটি অনুমোদন করেছিলেন কিনা, তা এখনো স্পশট নয়।

ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধার ও ত্রান সংক্রান্ত সংস্থার মুখপাত্র গাগাহ প্রকাসো বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, বিমানের ব্ল্যাক বক্সের সন্ধানের জন্য একটি দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটি বিমান উড্ডয়নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে বলে অনেকের ধারণা।

XS
SM
MD
LG