অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অলিম্পিক সমাচার: কাইলা রস


এবার লণ্ডন অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকসে পদক জয়ের সম্ভাবনায়, যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ বছর বয়সী কাইলা রস সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

কাইলা নিজে মনে করে, অলিম্পিকে অংশগ্রহণ, এ হচ্ছে তার স্বপ্ন।

আজকের যুবসংবাদে তার ওপরই আলোকপাত করছেন রোকেয়া হায়দার।

ক্যালিফোর্ণিয়ার কিশোরী কাইলা আর দশজন আমেরিকান কিশোরীর মত জীবনযাপন করে না। সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ ঘন্টা তার কাটে লস এঞ্জেলেসের কিছু দূরে জিমন্যাস্টিকসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিম-ম্যাক্স একাডেমীতে। আর স্কুলের পড়াশোনা এখন তার আংশিক সময়ের ব্যাপার।

কাইলা জানায়, ‘অবশ্যই ঘরে পড়াশোনা করাটা বেশ কঠিন। বিশেষ করে এ বছর তো আরও কঠিন ছিল। আমাকের স্কুলের সময় কমিয়ে দিতে হয়েছে। মানে আমি আমার জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটাচ্ছি অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে। আমি সেই লক্ষ্যেই অনুশীলন করে চলেছি। বলতে গেলে - আমার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে’।

কাইলা জানায় অনেকেই অন লাইন পড়াশোনা করেছে কিন্তু সে নিজের চার বছরের মধ্যে হাইস্কুল শেষ করার জন্য স্কুলেই পড়াশোনা করছে । তার বাবা জেসন রস জানান সেটা কাইলার জন্য খুব সহজসাধ্য নয়। তিনি বলেন, ‘আপনাকে খুবই নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে, জিমন্যাস্টিক্সের অনুশীলন তার সঙ্গে নিয়মিত লেখাপড়া করা। অনেক সময় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো, বা বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে। সেটা হয়ে ওঠে না। ঘরে বসে হোমওয়ার্ক শেষ করতে হবে। কিম্বা প্রতিযোগিতার আগে বিশ্রাম নিতে হবে। অনেক নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়’।

আর অলিম্পিকে প্রতিযোগিতার জন্য আরও বিশেষ শৃঙ্খলার প্রয়োজন। কাইলা রসের প্রশিক্ষক জেনি লিয়াং সে কথাই উল্লেখ করেন। জেনি বলেন, ‘আমি মনে করি অলিম্পিক গেমসে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজের মনের চ্যালেঞ্জ। মনটা শক্তিশালী হতে হবে। প্রতিযোগীকে চিন্তা করতে হবে যে - আমি এক হাজারবার এই অনুশীলন করেছি। এবার শুধু অন্য এক জায়গায় তা করবো। এ ব্যাপারে যদি খুব বেশী ভাবতে থাকে তা হলে কিছুই করতে পারবে না’। বললেন জেনি লিয়াং।

কাইলা রস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র জিমন্যাস্টিক্স দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। তার জন্ম হাওয়াইতে, সেখানে তার মা বাবা কাইলাকে জিমন্যাস্টিক্সের ক্লাসে ভর্তি করান তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। বাবা জেসন রস বলেন, তিনি কখনও ভাবেননি যে তার মেয়ে অলিম্পিকে যাবে। কাইলা এখন টেক্সাসে তার দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারপর পাড়ি দেবে লণ্ডন অলিম্পিকের পথে। পদক জয়ের আশাতেই নয়, অলিম্পিকে অংশগ্রহণ সেটাও তো বিরাট ব্যাপার, কাইলা সে কথা খুব ভালই জানে।

XS
SM
MD
LG