রয়টার বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে পাকিস্তানের খ্রীষ্টান মহিলা আসিয়া বিবির স্বামী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করছেন। আট বছর ধরে মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে কারাগারে বন্দি থাকার পর সম্প্রতি আসিয়া বিবি ধর্ম অবমাননার দায়মুক্ত হন।
ব্রিটিশ পাকিস্তানি খ্রীষ্টান এসোসিয়েশানের ভিডিওতে রেকর্ড করা , রয়টারের দেখা বিবরণ অনুযায়ী , আসিয়া বিবির স্বামী যুক্তরাজ্য এবং কানাডার কাছেও সহযোগিতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপদের মুখে রয়েছে। পাকিস্তানের এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী খ্রীষ্টানদের ক্ষুব্ধ করেছে।
রয়টার্স বলছে যে ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ও কানাডার দূতাবাসগুলো , এই আবেদনের কোন তাৎক্ষণিক জবাব দেয়নি। এ দিকে আসিয়া বিবির কৌসুলি জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর জীবনের নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
আসিয়ার বিরোধী উগ্রবাদি দলগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের হত্যা দাবি করছে যাঁরা আসিয়া বিবিকে বুধবার অভিযোগ থেকে খালাস দেন। এই আইনজীবি, সাইফুল মুল্ক ৫ সন্তানের জননী আসিয়া বিবির পক্ষে মামলা লড়েন । দু জন রাজনীতিক যারা তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন তাদেরকে হত্যা করা হয়। মুল্ক রয়টারকে ওয়াটসঅ্যা্পে দেয়া এক মেসেজে জানান যে তিনি অন্য দেশে চলে গেছেন। তিনি লেখেন, “ ক্ষুব্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করলে তিনি তাঁর দেশে ফিরে যাবেন।
পাকিস্তান সরকার ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে শুক্রবার একটি সমঝোতা করার পর আসিয়ার আইনজীবি দেশত্যাগে বাধ্য হন। সেই সমঝোতায় সরকার রাজি হয় যে আসিয়া বিবিকে সে পর্যন্ত দেশ ত্যাগ করতে দেয়া হবে না, যে পর্যন্ত না এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালত আপিল শোনে