২০২০ সালের শেষের দিকে যার সূচনা ইথোপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাত হিসেবে , ২০২১ সালে গিয়ে তাই পরিণত হলো গৃহযুদ্ধে যে কারণে কুড়ি লক্ষ লোক তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো এবং হাজার হাজার লোক দূর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে পড়ে রইল। যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তেই লাগলো সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিপর্যস্ত অঞ্চলে বাড়লো মানুষের স্থানচ্যূতি , জাতিগোষ্ঠীগত হত্যা এবং গণ-ধর্ষণ।
২০২১ সালের শুরুতেই , ইথোপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলে তখন এক মাসের যুদ্ধের কারণেই হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে সুদানে চলে যায়। শরনার্থীরা জাতিগোষ্ঠীগত ধ্বংসযজ্ঞ, যৌন নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের খবর দেয়।
পরবর্তী মাসগুলোতে মানবিক সংকট আরও বৃদ্ধি পায়। দশ লক্ষেরও বেশি লোক ইথোপিয়ার ভেতরেই গৃহচ্যূত হয়েছে এবং ত্রাণকর্মীরা আসন্ন দূর্ভিক্ষ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ঐ অঞ্চলের যে কিছু সংখ্যক হাসপাতাল এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে সে সব হাপাতালে যুদ্ধে আহত লোকজনের ভিড় রয়েছে যাদের মধ্যে এমন শিশুরাও আছে যাদের হয় ছুরিকাহত করা হয়েছে নয়ত গুলি করা হয়েছে অথবা তারা নতুন করে পাতা ভূমি মাইনের শিকার হয়েছে। এগারো বছর বয়সী গৈতম তার একটি পা হারিয়েছে এবং এখন সে সংক্রমণের শিকার। তার বাবা জানালেন ছেলেটি ছাগল চরাতে গিয়ে ভুমিতে পাতা মাইনে পাড়া দিয়েছিল।
ধ্বংসযজ্ঞ, নির্যাতন এবং অন্যান্য নৃশংসতার জন্য উভয়পক্ষই পরষ্পরকে দায়ী করছে। ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ইরিত্রিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। শত শত নারী এবং মেয়েরা এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছেন এবং ত্রাণকর্মীরা বলছেন এখনও অনেকেই এই অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে আসছেন না।
জুন মাসের জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কর্তৃত্ব পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন এই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেতা টিগ্রায় অঞ্চলটিও নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ পরে টিগ্রায়ের বাহিনী ঐ অঞ্চলটি আবার দখল করে এবং যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এখনতো টিগ্রায়ের বাইরে বেশ কিছু এলাকায় যুদ্ধ চলছে। আবি তার শত্রুদের পরাস্ত করার প্রত্যয় প্রকাশ করেছেন।