সক্রিয় করোনা রোগীর তালিকায় বাংলাদেশ এখন অষ্টম। এর আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, পেরু, পাকিস্তান ও ফ্রান্স। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৭৬ জন এখনও সক্রিয়ভাবে করোনার জীবাণু বহন করে চলেছেন। শুক্রবারের খবর, আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৮ জন। মারা গেছেন ৩০ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনায় গড় সুস্থ হওয়ার হার বিশ্বে সর্বনিম্ন। বিশ্বব্যাপী গড় সুস্থতার হার ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশে সেখানে ২১ শতাংশ। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি ভাইরাস দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আর বাংলাদেশ ছুটছে পেছনে পেছনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১১২ টি হাসপাতাল রয়েছে। এতে বেড রয়েছে ১৩ হাজার ১৮৪ টি। আইসিইউ বেড রয়েছে চারশোটি। ভেন্টিলেটর রয়েছে মাত্র তিনশো। এ সম্পর্কে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের এমআরসি সেন্টার তাদের প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, বর্তমান হারে যদি সংক্রমণ ঘটে তাহলে আগামী চার সপ্তাহে আইসিইউ বেডের চাহিদা ৫ হাজার ২৫৪ তে দাঁড়াতে পারে। এই যখন অবস্থা তখন সংক্রমণের গতি রোধ করতে বাংলাদেশকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করার সুপারিশ করেছে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট। এই সুপারিশে বলা হয়েছে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজে ভাগ করে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটজনক। শুক্রবার সকালে তার মস্তিস্কে জরুরি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুই সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক দ্বিতীয় দফা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ডা. শিহাব উদ্দিন গত ২০শে এপ্রিল প্রথম দফা করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেন। গত সপ্তাহে তিনি আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।