করোনা রুখতে সরকারি পদক্ষেপকে সিলমোহর দেয়নি চীনা বিশেষজ্ঞ দল। বরং একরাশ হতাশা ব্যক্ত করেছে। বলেছে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার অনেকটাই বিজ্ঞান সম্মত নয়। নিশানাও অনুপস্থিত। করোনা এই মুহূর্তে কোথায় আছে তা নিয়েও সংশয় ব্যক্ত করেছে প্রতিনিধি দলটি। ভাইরাস মোকাবিলায় তিনটি কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে। যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। ভাইরাসের ট্রান্সমিশন বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, যারা আক্রান্ত হননি তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দুই সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থানের পর দশ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি সোমবার সকালে ঢাকা ছেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকেও তাদের মতামত পুনরায় ব্যক্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। তারা লকডাউন বলতে যা বোঝায় তা অক্ষরে অক্ষরে পালনের সুপারিশ করেছে। ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে চীনা রাষ্ট্রদূত জ্যাং জু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে দেয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, করোনায় আক্রান্তের হার এভাবে বাড়তে থাকলে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নেয়া হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০ জন। রোগী শনাক্তের হারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয় ৬২ টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৫৫৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯ টি নমুনা পরীক্ষার পর ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনের শরীরে করোনার হদিস মিলেছে। এসময় সুস্থ হয়েছেন, ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। করোনা সংক্রমণে অতি ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ১০টি জেলার ২৭ টি অঞ্চলকে নতুন করে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ছুটি চলাকালে নির্দিষ্ট এলাকায় জনচলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ওদিকে ঢাকার বাইরে কিটের সংকট দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিটের অভাবে টেস্ট বন্ধ রয়েছে।