বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি চলছে অতি-সাম্প্রতিক সময়ে। গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী মারা যান। এরপরে এগার সপ্তাহেরও বেশি সময়ে করোনায় প্রথম ৫শ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপরে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ে মারা যান ৫শ জন। এভাবে বাড়তে থাকে মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি। আর ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত মাত্র এক সপ্তাহেই করোনায় মারা গেছেন ৩১৩ জন। এসব হিসেব সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তরের। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন। আর এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৬ জনে। এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২০১ জন। আর এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জনে।
জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলছে, বর্তমানে বিশ্বে করোনায় সংক্রমিতদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষেরা বেশি মারা যাচ্ছেন। জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন তহবিল তাদের জরিপে বলছে, বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের মধ্যে শতকরা ৭৯ শতাংশই পুরুষ।
করোনার সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করার যেসব ঘটনাবলী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে- সে সম্পর্কিত কয়েকটি রিটের শুনানির উপর সোমবার হাইকোর্টের এক ভার্চুয়াল আদালত ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট করে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী ফেরতের ঘটনায় দায়ের করা রিটের অভিযোগগুলো তদন্ত করে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যও সরকারের স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে অস্বাভাবিক বিলের ব্যাপারেও হাইকোর্ট সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে।