অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতীয় পরামর্শক কমিটি টিকার ট্রায়ালের পক্ষে মত দিয়েছে


করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি মনে করে এখনই বাংলাদেশে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হওয়া দরকার। আর এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলে বাংলাদেশে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং সেটা প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শুধু তাই নয় এই টিকা সফল প্রমাণিত হলে সবার আগে পাওয়ার নিশ্চয়তাও থাকবে। অধ্যাপক শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে টিকা আসার কথা শোনা যাচ্ছে। কোন কোন টিকার ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। করোনার টিকার ট্রায়াল নিয়ে বাংলাদেশ এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেনি। চীনের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন। পরে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এর কোন কারণ জানানো হয়নি। বুধবার ভারতের তরফে জানানো হয়, তাদের করোনা প্রতিষেধক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে দেয়া হবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে ভারত দুনিয়ায় এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিনই ভারতে তৈরি হয়। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির পর বন্ধু ও সহযোগী দেশগুলোকে দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কার্পণ্য করা হবেনা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ব্রাজিল ও ভারতে হচ্ছে। চীনের সিনোভ্যাক টিকা ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, ফিলিপাইন ও তুরস্কে হচ্ছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছে, বাংলাদেশে কী পরিমাণ টিকার প্রয়োজন হবে, কত টাকা খরচ হবে কিম্বা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে কিনা তা এখনই স্থির করতে হবে। তাছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে হবে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ৮২২ জন। করোনার খোঁজ মিলেছে দুই হাজার ৮৬৮ জনের শরীরে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৯ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:44 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG