অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার উপসর্গ নিয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে


করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর সরকারি রিপোর্টে অনুপস্থিত। অথচ প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য যারা উপসর্গ নিয়ে মারা যান তাদেরকে কোভিড হিসেবেই গণ্য করার পক্ষে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক বিজ্ঞানী অধ্যাপক মোজাহেরুল হকও তাই মনে করেন।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে দুই হাজার ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গবেষণাটি করেছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের একটি প্রতিষ্ঠান। ইউএনডিপির অর্থায়নে এটা পরিচালিত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যদিও অনেক মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছায় না। সাধারণ সর্দি কাশির মতই মনে করা হয়। গবেষণায় বলা হয়, বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে মারা গেছেন ৭০৪ জন। ঢাকা বিভাগে ৩৯১ জন, খুলনায় ৩০৬, রাজশাহীতে ২১৬, বরিশালে ২৪১, সিলেটে ১০০ রংপুরে ৯২ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬০ জন মারা গেছেন। বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে করোনা নিয়ে। সংঘর্ষ হয়েছে নানা স্থানে। রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৯ টি সংঘর্ষের ঘটনা। এসব ঘটনায় ২৪ জন প্রাণ দিয়েছেন। জখম হয়েছেন ৬০৬ জন। বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে ২৭৬ টি। এরমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী ও বিভিন্ন সহায়তা পাবার দাবিতেই বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া বেতন বোনাস ও চিকিৎসা সামগ্রীর দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। ত্রাণ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল ও করোনা বিষয়ে সরকারের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে ৬২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৪ জনকে। সামাজিকভাবে কলংক দেয়া সহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৩৪ টি।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪০১ জন। মারা গেছেন ৩৯ জন। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৬২৪ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:34 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG