শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চীনা টিকার পক্ষেই সায় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়ে দিয়েছেন, চীনা টিকা সিনোভ্যাকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে খুব শিগগিরই শুরু হবে। একমাস যাবৎ এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল। যদিও ঔষুধ প্রশাসন চীনা টিকার ট্রায়ালের ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রস্তুতি থেমে যায়। এরমধ্যেই আচমকা ঢাকা সফরে আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দু'দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়েও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, ভারতের তৈরি করোনা প্রতিষেধক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে দেয়া হবে। অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা এস্ট্রাজেনেকারের ট্রায়ালের বিষয়টিও খোলাসা করেন । বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, টিকার ট্রায়ালের ক্ষেত্রে যে কোনো রকমের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ভারতকে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানান, শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর এই ট্রায়াল চালানো হবে। ট্রায়ালে যে খরচ হবে তাও বহন করবে চীন। মন্ত্রী বলেন, যারা স্বেচ্ছায় টিকা নিয়ে আসবেন তাদেরটাও ট্রায়াল হবে বাংলাদেশে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পেতে সময় লাগবে। তার ধারণা ডিসেম্বর, জানুয়ারির আগে কোন টিকা আসবে না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিকা হয়তো মে, জুনের মধ্যে আসবে। যখনই আসবে তখনই বাংলাদেশ পাবে।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৪৩৬ জনের শরীরে করোনার খোঁজ মিলেছে। তিন মাসের মধ্যে এটা সর্বনিম্ন। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে গত ২০শে মে শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না। আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার পর চলতি বছরের ৮ম শ্রেণি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।