অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের ভ্যাকসিন কূটনীতি, বিশেষ সুবিধা পাবে বাংলাদেশ


এশিয়া থেকে আফ্রিকা। আফ্রিকা থেকে ল্যাটিন আমেরিকা। চীনা কূটনীতিকরা করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা নিয়ে রীতিমত ফেরি করছেন। তাদের ভাষায়, বন্ধু দেশগুলোর কাছে টিকা পৌঁছে দেয়াই এই মুহূর্তের প্রধান কাজ। এই টিকা কূটনীতিতে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেতে যাচ্ছে। অন্য দেশগুলোকে চীন সহজ ঋণে টিকা দেয়ার কথা বলেছে। বাংলাদেশ পাবে এক লাখ দশ হাজার ডোজ টিকা। যার জন্য কোন মুল্য দিতে হবে না। অন্য দেশগুলো এই সুবিধা পাবে না। বিশেষ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবেই এই টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে। এমনটাই বলা হয়েছে বেইজিং এর তরফে। ঢাকায় আইসিডিডিআরবি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জন ক্লিমেন্স এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও কদিন আগে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। এ মাসের শেষের দিকে চীনের সিনোভ্যাক টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল ঢাকায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য দু' দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই ট্রায়াল মনিটর করবে আইসিডিডিআরবি। বাংলাদেশ বাদে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোকে টিকার জন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে চীন। বাংলাদেশ টিকা পেতে এখন মরিয়া। অক্সফোর্ডের টিকা বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় রাশিয়ার দিকেও পা বাড়িয়েছে। মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাস সেদেশের সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ঢাকায় রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, যেখানে টিকা সেখানেই পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।

ওদিকে করোনা আর ঢাকা কেন্দ্রিক নয়। প্রায় ছয়মাস ঢাকা ছিল হটস্পট। এখন ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ৩৮টি জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবই স্থাপন করা হয়নি। ফলে প্রকৃত চিত্র অজানা থাকছে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ চার হাজার ৭৫৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৯২ জনের শরীরে ভাইরাস ধরা পড়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৪ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:50 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG