বিশ্বব্যাপী করোনা এখনও অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু বাংলাদেশে এর দাপট কমছে। অন্তত সরকারি হিসাব তাই বলে দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮২ জন। মৃত্যুর সংখ্যা যদিও ৩০ এর উপরে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এই হিসাবের সঙ্গে একমত নন। তারা বলছেন, বাংলাদেশতো বিশ্ব থেকে আলাদা নয়। তাদের মতে, সংক্রমণের হার দেখে হিসাব মেলালে ভুল হতে পারে। কারণ টেস্ট যেখানে কম সেখানে আক্রান্ত কম হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের খুব কম দেশ রয়েছে এ মুহূর্তে নতুন করে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে না। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটিতে প্রতিষ্ঠিত করোনা ভাইরাস রিসোর্স সেন্টার হালনাগাদ যে সব তথ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে কোথাও কমার লক্ষণ নেই। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, পেরু ভারত, ব্রাজিল, ইরান, কলম্বিয়া, চিলি থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। এশিয়াতেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই নতুন করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে জেলা পর্যায়ে টেস্টের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় বাস্তব পরিস্থিতি অজানাই থেকে যাচ্ছে। ছয় মাস পরেও ৩৮টি জেলায় নমুনা পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এসব জেলার মানুষজন টেস্টের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। উপসর্গ থাকলে বিশেষ ব্যবস্থায় অন্য জেলায় বা ঢাকায় নমুনা পাঠানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শীতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আসতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কাদের। বিরোধী বিএনপি আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ভুল পরিসংখ্যান দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বে ৯ লাখ ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৮৩ লাখ। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখেরও বেশি মানুষ।