অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনা নিয়ে অপপ্রচারের আঁচড় বাংলাদেশেও লেগেছে


করোনা নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে অপপ্রচার চলছে বাংলাদেশেও তার আঁচড় লেগেছে। বিপুল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, করোনা নিয়ে চিন্তা নেই। এটা বড়লোকদের রোগ। তাই মাস্ক পরার দরকার নেই। শহর-বন্দর, গ্রামেগঞ্জে একই প্রচার চলছে। রাজধানী ঢাকাও এর ব্যতিক্রম নয়। যানজট পুরনো চেহারায় ফিরে গেছে অনেক আগেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে চিন্তিত। তারা বলছেন, শীত সামনে রেখে আমরা এক আত্মঘাতী পথে হাঁটছি। আমরা সবাই বলছি, শীতে করোনার দাপট আরও বাড়বে। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। বিয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গেছে। মাস্ক ছাড়া মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করছেন। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ধর্ম মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার অনেকটা বাধ্য হয়েই নতুন করে নির্দেশনা জারি করেছে। বলেছে, মাস্ক ছাড়া কেউ ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। মাইকে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাতে বলা হয়েছে। মাস্ক পরতে বলা হলে অনেকেই তাৎক্ষণিক জবাব দেন, ছয় মাস পরেছি। আর কত। আমাদের কিছু হবে না। কাওরান বাজারে পিয়াজের আড়তে ব্যবসা করেন সোহেল মিয়া। মাস্ক নিয়ে তার অভিজ্ঞতা।

হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল, গণপরিবহনে আগের চিত্রই দেখা যাচ্ছে। অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মাস্ক পরার ব্যাপারে অনীহা দেখাচ্ছেন। ঢাকায় যখন এই অবস্থা তখন বিদেশে বাংলাদেশি মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। বিজিএমইএ'র সুত্র জানায়, মার্চ থেকে জুলাই এই পাঁচ মাসে দুই কোটি ৬৯ লাখ ডলারের মাস্ক রপ্তানি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বাজার বেড়েছে বহুগুণ।

ওদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে যেসব গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারিয়েছিলেন তারা কাজ ফিরে পাচ্ছেন না। প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক এসময় চাকরি হারান। স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক চাকরি ফিরে পেয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে।

সর্বশেষ: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৯৬ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:03 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG