অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার দাপটে মাধ্যমিকেও অটোপাস


করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা। একদিকে সাত মাস যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে কেউ জানে না। এরমধ্যে একের পর এক সিদ্ধান্তে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অজানা ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ এ বছরের মাধ্যমিক স্তরে বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সব শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। যাকে বলা হয় অটোপাস। এ জন্য ৩০ কর্মদিবসের একটি পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত এ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। কিন্তু ফলাফল বিবেচনায় আসবে না। কোনো গ্রেডিং হবে না। কোনো মার্কিং এর ব্যবস্থাও নেই। শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, কোভিড পরিস্থিতিতে গ্রেডিং করলে বাচ্চাদের ওপর চাপ বাড়বে। এর আগে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও ভিন্নমত এখন স্পষ্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলে দিয়েছে, তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ফলো করবে না। পরীক্ষা ছাড়া কাউকে ভর্তি না করার পক্ষেও মত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। উপাচার্য পরিষদ অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নেয়ায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপাচার্য পরিষদ আবার বৈঠকে বসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিত পরীক্ষার পক্ষেই মত দিয়েছে।

নতুন এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, করোনাকালে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতকরা ৩৭ ভাগ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান আংশিক খোলা রয়েছে। মাত্র দুইভাগ কর্মী রাষ্ট্র থেকে সহায়তা পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন, বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাজ্যের ফরেন ও কমনওয়েলথ ডিপার্টমেন্ট এর যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালানো হয়।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ৭২৩ জনে। বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। গত একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৪৫ জন। সবমিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৩১ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:54 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG