করোনার কারণে টানা ১৭ দিন বন্ধ থাকার পরে বাংলাদেশ সরকার ৩৮টি দেশের সাথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ৩৮টি দেশকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভারত, ব্রাজিলসহ করোনার উচ্চ সংক্রমিত ১২টি দেশ থেকে শুধুমাত্র বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশীরা দেশে আসতে পারবেন। আগতদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তুরস্ক এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ ২৬টি দেশ থেকে যে কোন যাত্রী আসতে পারবেন, তবে এদেরও ১৪ দিন কোয়ারেনটিনে থাকতে হবে। শুধুমাত্র কাতার, বাহারাইন ও কুয়েত থেকে দেশে আসলে প্রথম তিন দিন পরে অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই ৩৮টি দেশের বাইরের কোন দেশের যাত্রী এলে তাকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আনতে হবে।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে পরিবহণ শ্রমিকদের আন্দোলনের ঘোষণার জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহণের ওপরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। তবে ঈদের আগে গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।
২৫ এপ্রিল ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ করার পর এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮শ’ জন বাংলাদেশী স্থলপথে দেশে ফিরেছেন। আগতদের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে রাখা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশীদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত বলে পরীক্ষায় দেখা দেছে। স্থানীয় প্রশাসন এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬০ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ৪৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।.