ধর্ষণ বা অন্য যে কোন যৌন নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে আদালতে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার জাতীয় সংসদে এ কথা জানিয়ে বলেন এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাকে সংশোধনের জন্য কাজ করছে। প্রায় দেড় শতাধিক বছর আগে প্রণয়ন করা সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতে বিবাদী পক্ষ বলাৎকার বা ধর্ষণের অভিযোগকারীর চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি সংশোধনের জন্যও দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছেন অধিকার কর্মীরা।
সাক্ষ্য আইন সংশোধনের উদ্যোগের বিষয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার তরফে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট জিয়া হাবিবের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন দেড় শতাব্দীর পুরানো আইনের কারনে আদালতে ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র হরণের মাধ্যমে তাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হতে হয়। তিনি সাক্ষ্য আইনে ডিজিটাল প্রমাণ গ্রহণের ধারা সংযোজনের ওপর জোর দেন। মানবাধিকার সংগঠন মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন আইন সংশোধন করলেই হবে না একে কার্যকর করারও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এর আগে দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়।