অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বেসরকারি উদ্যোগে টিকা আমদানি ও প্রয়োগের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার


বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি ও প্রয়োগের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে যাতে টিকা আমদানি থেকে শুরু করে এর সংরক্ষণ, প্রয়োগ এবং দাম নির্ধারণের মত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বলেন সরকার এটাও ঠিক করে দেবে এই টিকা কোন কোন হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। বেসরকারি ঔষধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মা ইতিমধ্যেই ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বেসরকারি ভাবে আমদানির ঘোষণা দিয়েছে।

তবে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বেশি মুনাফা করার জন্য। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন সরকার মানুষের জীবন রক্ষাকারী করোনা টিকা নিয়েও বৈষম্যের সৃষ্টি করছে ধনিক শ্রেণির জন্য বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে।

এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সমূহ তাদের কর্মকর্তা - কর্মচারীদের জন্য টিকা আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশে যে সকল দেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে সে সকল দেশের দূতাবাসগুলো সেখানে কাজ করা সে দেশের কর্মীদের জন্য টিকা আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে এবং রুশ দূতাবাস রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রুশ কর্মীদের জন্য টিকা আমদানি করতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে।তবে প্রকল্পটিতে স্থানীয় যে সকল কর্মী কাজ করছেন তাঁদেরকেও টিকা দেয়া হবে কিনা তা জানা যায়নি। দূতাবাস ছাড়াও বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কর্মীদের জন্য টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। টিকা আনতে চেয়ে ব্র্যাক ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করলে টিকা আনতে কোনও বাধা নেই। সরকার অবশ্য অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোন টিকা বাংলাদেশে আমদানি বা প্রয়োগের অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, ডায়াবেটিস রোগী বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ও ইনসুলিন নেয়া রোগী করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁদের জটিলতা ও মৃত্যুহার বেশী বলে বাংলাদেশের একদল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গেলো বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ১৬৮ জন করোনা রোগীর ওপর গবেষণায় দেখা যায় ৫২ দশমিক ৪ শতাংশই ছিলেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অপরদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মোতাবেক দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন করোনা রোগী এবং ৭৬২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

XS
SM
MD
LG