জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ যা প্রতিরোধে আইনের শাসন, অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিশেল ব্যাচেলেট বলেন ধর্ষণ রোধে মৃত্যুদণ্ড কোনও সমাধান নয়। বলেন যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া যেতে পারে এমন ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে মৃত্যুদণ্ডের মত সাজার ব্যবস্থা করে নিজেদের আরও সহিংস হয়ে ওঠা উচিত নয়। মিশেল ব্যাচেলেট বলেন সম্প্রতি আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মরক্কো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তিউনিসিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের অসংখ্য রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ যথাযথভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তা রোধের প্রতিকার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে একই সাথে তিনি তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন এই বলে যে কিছু জায়গায় এরিমধ্যে নিষ্ঠুর-অমানবিক শাস্তি এবং অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইন প্রনিত হয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশসহ কিছু দেশ ধর্ষণ রোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। পাকিস্তানসহ আরও অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে মিশেল ব্যাচেলেট বলেন তবে বাস্তবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে অপরাধ দমনে মৃত্যুদণ্ড অন্য যেকোনো ধরণের শাস্তির চেয়ে বেশি কার্যকর। তিনি বলেন মুল সমস্যা হল যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার পান না।
এদিকে, ধর্ষণ ও বিচারহিনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যানারে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আজ দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের নোয়াখালী জেলার উদ্দেশ্যে সুই দিন ব্যাপী লংমার্চ শুরু করেছে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে। লংমার্চ শুরুর আগে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশব্যাপী যে ধর্ষণের সংস্কৃতি চলছে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ পুলিশের তরফে আজ জানানো হয়েছে তারা আগামীকাল শনিবার সারা দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে তারা সমাবেশ করবে। পুলিশ সদর দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।