যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক উদ্যোগ কোয়াড-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ করা উচিত হবে না এবং এতে যোগ দিলে চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যথেষ্ট ক্ষতি হবে বলে চীনের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত সোমবার কোয়াড নিয়ে ওই মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমরাই আমাদের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণ করবো। তিনি বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত আগ বাড়িয়ে কথা বলছেন।
চীনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন আনতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্লেন মঙ্গলবার চীন গেছে। বুধবার ওই ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা। বাংলাদেশ চীন থেকে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনতে চায়। এ লক্ষ্যে চীনকে একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন।
তবে ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত সোমবার জানিয়েছিলেন, চীনের ভ্যাকসিনের আন্তর্জাতিক চাহিদার দীর্ঘ লাইনে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ নেপালকে করোনার চিকিৎসা সামগ্রী এবং ওধুষ পত্র ঢাকাস্থ দেশটির রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেছে।