অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অক্সফোর্ডের টিকা ছাড়পত্র পাওয়ায় বাংলাদেশে স্বস্তি


অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে ঢাকায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে বৃটিশ সরকারের ছাড়পত্র পাবার পর জনমনে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে। কারণ বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে চুক্তি করেছে। যদিও সরাসরি নয়। ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে তিন কোটি ডোজ টিকা জানুয়ারিতে ঢাকায় পৌঁছাবে এমনটাই বলা হচ্ছে। সিরাম ইন্সটিটিউট ইতিমধ্যেই ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের মতে মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের তুলনায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ ও পরিবহণ সহজ। এই ভ্যাকসিনটি কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশের দুই অণুজীব বিজ্ঞানী ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড. বিজন কুমার শীল ও ড. খন্দকার মেহেদী আকরাম স্পষ্ট করেই বলেছেন, বিলেতে শনাক্ত করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতিকে কোনোভাবেই এক করে দেখা যাবে না। বাংলাদেশে নতুন প্রজাতি চিহ্নিত করার কোন সুযোগও নেই। জিন পরীক্ষার সক্ষমতাও অর্জন করেনি বাংলাদেশ। নতুন এই প্রজাতি বাংলাদেশে এসেছে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। এই অবস্থায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিপদ আসার আগেই বাংলাদেশকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। চলমান করোনাতে নতুন প্রজাতির করোনা ৭০ ভাগ বেশি গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ৫০ টিরও বেশি দেশ বৃটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ এখনও চালু রেখেছে। তবে বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:01 0:00
সরাসরি লিংক

ওদিকে করোনা ভাইরাসে গত একদিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২৩৫ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মারা গেছেন সাত হাজার ৫৩১ জন। শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪টি। হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই বেশি মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার কোনো সঠিক তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে নেই।

XS
SM
MD
LG