অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে


নানামুখী বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। বুধবার এ কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা হয়। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়। এরমধ্যে মন্ত্রী, চিকিৎসক, অর্থনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান ও অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

ভ্যাকসিনবিরোধী যে প্রচারণা বিশ্বব্যাপী চলছে তার ঢেউ বাংলাদেশে কমবেশি পৌঁছেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই টিকা নিরাপদ নয়। বাংলাদেশে এর একটি রাজনৈতিক দিকও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা ভারত থেকে এসেছে। তাই এটা নিরাপদ নয়। ভারতেই বহু মানুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই অপপ্রচার উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। ঈদের মতো খুশিতে লোকজন টিকা নিচ্ছেন। টিকা নিরাপদ, অপপ্রচারের সুযোগ নেই।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:44 0:00
সরাসরি লিংক

আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার যে ৫৪১ জনকে বাছাই করা হয়েছে তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। বলা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বাছাই করা হয়নি। গাইডলাইনে বলা আছে, কেবলমাত্র ফ্রন্টলাইনাররা আগে টিকা পাবেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে করোনা ভাইরাসের টিকা দ্রুত সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৪৮তম সভায় এ আহ্বান জানান।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৯ জন।

XS
SM
MD
LG