কাজের কয়েকটি ক্যাটাগরি ভাগ করায় সৌদি শ্রমবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এই অস্থিরতার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশী শ্রমিকরা। বিশেষ করে যারা ফ্রি ভিসায় গিয়েছিলেন তারাই বিপদে পড়ছেন। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও নতুন নিয়মে অনেকেই অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন। গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে ঢালাওভাবে। গত দুই সপ্তাহে ৬০০ বাংলাদেশী পুরুষ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন অনেকটা শূন্য হাতে। অথচ এদের অনেকেরই বৈধ কাগজপত্র ছিল। দেশে ফিরে এসেছেন এমন কয়েকজন শ্রমিকের অভিযোগ, কোন কারণ না দেখিয়েই তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি নাগরিকদের সুবিধা দেয়ার জন্যই আচমকা ধর-পাকড় শুরু হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ মহিলাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ায় অনেকেই চাকরি হারাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ স্বপন গিয়েছিলেন ফ্রি ভিসায়। তার কষ্টকথা জানালেন এই প্রতিনিধিকে।
শ্রম ও ইমিগ্রেন্ট বিষয়ক বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের মতে, এটা ঠিকÑ বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই অবৈধ হচ্ছেন। সৌদি সরকার এ বছর যে নতুন নিয়ম চালু করেছে তাতে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না। কাজের ধরনও পাল্টে গেছে।
হাসান আহমেদ কিরণ বলেন, সৌদি আরব থেকে আমরা যেসব খবরা-খবর পাচ্ছি তাতে মনে হয় এ বছরের শেষ দিকে হয়তো ফেরত আসার সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজার হবে।
ওদিকে কয়েক হাজার নারী শ্রমিক বিড়ম্বনার শিকার হয়ে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন।