পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন তাঁরা শনিবার কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন এবং সেখান থেকেই তাদের দেশে ফেরার কথা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক বার্তায় জানিয়েছেন আফগান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১২ জন বাংলাদেশি কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে করে শীঘ্রই দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন আরও বলেছেন, শিক্ষার্থীরা বৈধ কাগজ নিয়ে নিজ উদ্যোগে এলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। দুয়ার খোলা থাকবে। চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন কর্তৃপক্ষও বলছেন, এই ছাত্রীরা আগের মতোই পড়াশোনা করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সব ছাত্র-ছাত্রী সমান।
যে ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থী বাংলাদেশে আসছেন তাঁরা চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে পড়ছেন। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে তারা সেখানে আটকা পড়েন কারণ তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার পর তারা ফেরার ফ্লাইট পাচ্ছিলেন না। এই সকল আফগান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতার কারণে সেদিন তাদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। তারা ফিরে যাওয়ার ঘণ্টা খানেক পর বিমানবন্দরের বাইরে আইএস এর আত্মঘাতী বোমা হামলায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ওই ১৫ জন বাংলাদেশীর মধ্যে ৩ জন কাবুল রয়েছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় রোববার এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে আফগানিস্তান থেকে এখনও যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরতে পারেন নাই সরকার তাঁদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা ছাড়াও তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে সরকার ইতিমধ্যেই ২০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করেছে। এতে বলা হয় আফগানিস্তানে আটকে পড়া অবশিষ্ট বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারে কাবুল বিমান বন্দরের কাছে বোমা হামলায় নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি বিবৃতিতে সহানুভূতি জানানো হয় এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
(এই প্রতিবেদন লেখায় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নঈম নিজাম।)