বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি অব মাইগ্রেশন ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট বা রামরু মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে করোনা মহামারি কারণে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ফিরে আসা ১১৬০ জন প্রবাসী কর্মীর সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে পরিচালিত এক যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমুহের ৭০ জন প্রতিনিধির অংশ গ্রহণে বুধবার অনুষ্ঠিত এক অনলাইন অনুষ্ঠানে গবেষণাটির ফলাফলের প্রতিবেদন তুলে ধরেন রামরু এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার।
গবেষণা প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য মোতাবেক ফিরে আসা কর্মীদের মধ্যে ৪৮.৬ শতাংশ চাকরি হারিয়েছেন এবং যারা চাকরিতে ছিলেন তাদের ৩৮.৭ শতাংশ কর্মীর বেতন আগের চেয়ে কমেছে। এতে বলা হয় দেশে ফিরে আসার আগে প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে ৬৭.৭ শতাংশ নিয়মিত বেতন পাননি তবে দেশে ফেরার আগে ৯২ শতাংশ কর্মী এ বিষয়ে তাঁদের কর্মস্থলের দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ জানিয়ে আসেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রবাসী কর্মীরা করোনাকালে বেতন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পারিশ্রমিকসহ গড়ে প্রায় ১ লাখ ৮০ টাকা করে হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের মধ্যে বেতন হারানো কর্মীদের তালিকার শীর্ষে গন্তব্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং এরপর রয়েছে কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, ওমান ও বাহরাইন। করোনা মহামারির প্রভাবে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন যাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ পুরুষ কর্মী এবং বাকিরা নারী কর্মী।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন কালে অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন চাপ দিয়ে বিপদাপন্ন কর্মীদের দেশে ফিরতে বাধ্য করা হয়েছে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে কর্মী পাঠানো দেশকে চাপ দেয়া হয়েছে তাদের কর্মী ফিরিয়ে নিতে। আন্তর্জাতিক কোনও মানদণ্ড না মেনে অনৈতিকভাবে এসব করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন অভিবাসী কর্মীদের নিরাপত্তায় কাঠামোগত দুর্বলতা আছে এবং করোনা মহামারীর সময় আরও চরমভাবে এই দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সি আর আবরার প্রবাসী কর্মীদের হারানো বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে সোচ্চার হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ।