অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৃটিশ রাজনীতিতে চলছে নাটকীয়তা


টালমাটাল ব্রিটিশ রাজনীতিতে মিনিটে মিনিটে নাটকীয়তা। কে ধারণা করেছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন দফা পরাজয় ঘটবে একজন প্রধানমন্ত্রীর। নিজ দলে বিদ্রোহ নতুন কোন খবর নয়। কিন্তু আপন ভাই যখন দল ও মন্ত্রিত্ব ছেড়ে চলে যান তখন বিষয়টি আমলে না নিয়ে কোন উপায় নেই। ৪৪ দিন বয়সী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একের পর এক সংকটের মুখোমুখী। ব্রেক্সিট ইস্যু ব্রিটিশ রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়ে চলেছে। দু’জন প্রধানমন্ত্রী বিদায় নিয়েছেন, নয়া নির্বাচনের দিকেও ঠেলছে পরিস্থিতি।
১৮ই অক্টোবর ভোট করতে চেয়েছিলেন বরিস জনসন। এমপিরা এতে সায় দেননি। বিশেষ করে বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন বেঁকে বসেন। জনসন বলেছেন, এটা কাপুরুষতা। সারা বছর যেখানে আগাম নির্বাচনের কথা বলে সেখানে নির্বাচনের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করার মধ্যে কি আনন্দ রয়েছে। তার মতে এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা।

করবিন এর জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, কে বলেছে আমরা নির্বাচন চাই না। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ইস্যুটির ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়। করবিন শুরুতে নির্বাচনের ব্যাপারে দোটানায় ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার করবিনকে স্মরণ করিয়ে দেন এই সময়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলে মস্তবড় ভুল হবে। ১৫ই অক্টোবর নির্বাচনের মধ্যে বরিস জনসনের ভিন্ন কৌশল রয়েছে। এই যখন অবস্থা তখনই খবর এলো বরিস জনসনের ভাই জো জনসনের পদত্যাগ। মন্ত্রী এবং দল থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। নয় বছর ধরে তিনি ৩ জন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মন্ত্রী ছিলেন। এক টুইট বার্তায় বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে পারিবারিক বিশ্বস্ততা ও জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আমি চাপের মধ্যে ছিলাম। এটা আমার জন্য অসমাধানযোগ্য একটি উদ্বেগ।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে প্রস্তাব ছিল তা পরাজিত হয়েছে বিরাট ভোটের ব্যবধানে। ৪৩৪ ভোটের মধ্যে মাত্র ২৯৮ ভোট পেয়েছে শাসকদল। শাসকদলের বহু সদস্য এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ব্রিটেনের অন্যতম বিরোধী নেতা লিবারেল ডেমোক্রেটের উপনেতা এড ডেভি বলেছেন, জনসনকে বিশ্বাস করা যায় না। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র বক্তৃতা লেখক ক্রিস উইকিন্স বলেন, এখানে সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে আস্থার সংকট। বরিস জনসনের সমস্যা হলো বিরোধী দলতো বটেই খোদ শাসক দলের অনেকেই তার উপর আস্থা রাখতে পারেন না।
সর্বশেষ হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিস মগ জানিয়েছেন, ফের ১৫ই অক্টোবর নির্বাচন চেয়ে আগামী সোমবার হাউজে একটি প্রস্তাব আনা হবে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:02 0:00



XS
SM
MD
LG