অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশংকা


আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাস মহামারি যেহেতু প্রলম্বিত হচ্ছে সেহেতু বিশ্বব্যাপী কৃষি তথা খাদ্য শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
তাদের মতে এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা দিতে পারে খাদ্যাভাব এবং বাড়তে পারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী অতি সম্প্রতি এক এক পূর্বাভাষে বলেছে করোনা ভাইরাস মহামারির কারনে বিশ্বের অন্তত ৫৫ টি নিন্ম এবং মধ্যম আয়ের দেশের অন্তত সাড়ে ছাব্বিশ কোটি মানুষ তীব্র ক্ষুধার কবলে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে পড়ায় অনেক মানুষ তাঁদের জীবন ও জীবিকার অবলম্বন হারাচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা তাঁদের ক্রয় ক্ষমতাও হারাচ্ছেন। এর ফলেও বিশ্বের দেশে দেশে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ এক সময় কৃষি প্রধান দেশ থাকলেও সময়ের বিবর্তনে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে এ খাতের অবস্থান এখন তৃতীয় স্থানে। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সেবা খাত এবং শিল্প খাত। এর পরও কৃষি এখনও বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। সরকারের হিসেব মতে দেশটি খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং কৃষি খাতের অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যেমন সবজি, মাছ ও মাংস উৎপাদনে অনেকদূর এগিয়েছে। করোনা মহামারির কারনে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর পূর্বাভাষের প্রেক্ষাপটে খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে সাক্ষাতকার দিয়েছেন
রাষ্ট্রের মালিকানাধীন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকুবের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আলি হোসেন প্রধানিয়া ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কৃষকদের জন্য নির্ধারিত প্রণোদনা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকলে করোনাকালেও বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
please wait

No media source currently available

0:00 0:08:45 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG