প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে বাংলাদেশে ১১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ এনামুর রহমান।
সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, পূর্ণাঙ্গ হিসেব শেষে ক্ষয়ক্ষতির আসল চিত্র পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ২৬টি জেলার। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা জেলা সমূহে। তিনি বলেন, সরকার আজ শুক্রবার থেকেই উপদ্রুত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের এবং ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাত সমূহের পুনর্বাসন এবং পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, আম্পানের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কারনে উপকূলের যে সকল এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে লোনা পানি ঢুকেছে, সেখানে হাজার হাজার মানুষ এখনো পানি বন্দী হয়ে আছেন এবং সে সমস্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব। যাদের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে তাঁরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের এবং পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে, যার মধ্যে যশোর জেলাতেই নিহত হয়েছেন ৬ জন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুক্রবার টেলিফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, টেলিফোনে শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোঁজ-খবর নেন এবং তাঁকে তাঁর সমবেদনা জানান।