জন্স হপকিন্স ইউনিভাসিটির হিসেব অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার লক্ষ তেইশ হাজার লোক এবং এতে মারা গেছেন প্রায় উনিশ হাজার লোক।
যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনাভাইরাস মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত পঞ্চান্ন হাজার লোক এতে নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্রী মার্গারেট হ্যারিস মঙ্গলবার বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন আরো পরীক্ষা করলে আক্রান্তের সংখ্যা যে বেশি তা বোঝা যাবে।
হ্যারিস বলেন যে মঙ্গলবার নতুন আক্রান্তদের ৮৫ শতাংশই ছিলেন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবং এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আজই যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট দু লক্ষ কোটি ডলারের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান , পরিবার পরিজনকে সাহায্য দেয়া এবং করোনাভাইরাসের চিকিৎসাকর্মে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের জরুরি সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করা ।
চীন হুবেই প্রদেশের অধিবাসীদের অবরুদ্ধ অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেখানেই করোনাভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে যে যুক্তরাষ্ট্র এই মহামারির মূল কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে। চীন লোকজনকে বাড়িতে থাকা এবং এই জীবাণু
সংক্রমণের জন্য কঠোর পদক্ষেপে নেয়ার পর সেখানে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আজ জানিয়েছেন যে নতুন করে সেখানে ৪৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন তবে তাঁরা সকলেই বিদেশ থেকে সেখানে গিয়েছেন।
আজ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন সে দেমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন যে এই সংক্রমণ রোধের জন্য দেশটি চার সপ্তার জন্য লকডাউন পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। আজ সে দেশে নতুন করে ৫০ জনের আক্রান্ত হবার খবর পা্ওয়া গেছে।