বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবেই যারা আক্রান্ত হয়েছেন সর্বসাম্প্রতিক সেই হিসেব অনুযায়ী ইটালি, যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেন হচ্ছে সেই দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ।
গত বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই ভাইরাসের উৎপত্তির পর থেকে চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। তবে তারপর ইটালি এবং স্পেন আরো বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, কাল রাত থেকে এ পর্যন্ত আরো ৭৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৪০০ তে।
স্পেনের সংসদ এ ব্যাপারে সরকারের একটি অনুরোধ অনুমোদন করেছে যে দেশের জরুরি অবস্থা এবং লক ডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে যার ফলে সব ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ থাকবে এবং লোকজন অন্তত মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে থাকবেন।
আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে ইটালি প্রায় চীনকে অতিক্রম করে যাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে মনে হয় , যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির আজ সকালের হিসেব অনুয়ায়ী, যুক্তরাষ্টে করোণাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৬৯ হাজার এবং প্রাণহানির সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি।
এখানে বিধায়করা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রী দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা করছেন যাতে করে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার সময়ে ডাক্তার এবং নার্সরা সুরক্ষিত থাকেন। কারণ চিকিৎসকরা প্রতিরোধক সাজ সরঞ্জামের অভাব বোধ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং বুধবার রাতে অনুমোদিত দু'লক্ষ কোটি ডলার বরাদ্দের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ প্রদান , বেকার ভাতা বৃদ্ধি করা এবং আমেরিকায় অভাবগ্রস্তদের বাড়িতে সাহায্য প্রদান।
এ ধরণের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ এ সপ্তায় বিশ্বের শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ ঘোষণা করেছে যে, তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভুতপূর্ব সমর্থন প্রদান করবে।