অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রাম বন্দরের ভয়াবহ কন্টেইনার জট তৈরী হয়েছে


বাংলাদেশে কোভিড-১৯র কারনে টানা লকডাউন পরিস্থিতিতে আমদানী-রফতানী বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশের আমদানী-রফতানী বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরে গেল ফেব্রুয়ারীর তুলনায় মার্চে বাল্ক কার্গো হ্যান্ডেলিং কমছে ১লাখ ৪২ হাজার মে.টন। একই ভাবে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কমেছে ৩৬হাজার ৩১০ টিইউইএস। বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গেল ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে বাল্ক কার্গো হ্যান্ডেলিং হয়েছে ৭৫লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৪ মে.টন। মার্চে হ্যান্ডেলিং হয়েছে ৭৪লাখ ২৬ হাজার ৪৬০ মে.টন। একই ভাবে আমদানী রফতানী পণ্যবাহী কন্টেইনার ফ্রেব্রুয়ারিতে হ্যান্ডেলিং হয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৯কন্টেইনার। মার্চে হয়েছে দুই লাখ ৪৯হাজার ৯৬৯টি।

এদিকে আমদানী-রফতানী পণ্য নিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভিড়লেও লকডাউন পরিস্থিতির কারনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারী নিতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ডেলিভারীর অপেক্ষায় আছে ৪৯হাজারের বেশী কন্টেইনার।

ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক সংখ্যক কন্টেইনার নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। গেল এক মাসে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কন্টেইনার জাহাজ থেকে আনলোড করা হলেও বন্দর থেকে ডেলিভারী হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার কন্টেইনার। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের ভয়াবহ কন্টেইনার জট তৈরী হচ্ছে বলে জানান বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

লকডাউন পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় আমদানী-রফতানী বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম। একই কথা বলছেন পরিবহন মালিকরাও। বন্দরে যেখানে প্রতিদিন ১৫হাজারে বেশী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকতো সেখানে এখন গড়ে দুই হাজারের কম ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করছে বলে জানান পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারী কমে যাওয়ায় আমদানী-রফতানী বাণিজ্যে লোকসানের আশংকা করছেন শিপিং এজেন্ট মালিক সমিতির সহ সভাপতি শফিকুল আলম জুয়েল।

এদিকে আজও চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এর আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে শিশুসহ ৫জন। ২৪ ঘন্টায় ১২২জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিন জনের শরীরে কোভিড ১৯ পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক জন চট্টগ্রামের এবং তিন লক্ষীপুরের। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ৩৫ এবং লক্ষীপুরে শিশুসহ ২০জনে শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাদের চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা।

XS
SM
MD
LG