এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.২ শতাংশ থেকে ০.৪ শতাংশ কমে যেতে পারে।
করোনার বিস্তার আরো বাড়লে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। তবে এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও ভাল আছে।
ওদিকে, হঠাৎ করে বাংলাদেশে সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যাথা রোগ বেড়ে গেছে। এতে করে অনেকের প্রাণহানীও ঘটছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রোগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেহেরপুরে একজন ইতালী ফেরত নৌ সদস্য মারা গেছেন। সেখানে প্রশাসন কয়েকটি বাড়িতে লকডাউন কার্যকর করেছে। নারায়ণগঞ্জে এক নারীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ১০০টি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। গাজীপুরে একজন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। এই শ্রমিকের বাড়ি সুনামগঞ্জে। স্থানীয় প্রশাসন ৭টি পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে নিয়েছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১, লক্ষ্মীপুরে ১ এবং মাগুরায় ১ জন মারা গেছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক সংবাদকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মিডিয়াপাড়ায় একধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। টেলিভিশনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ৬১ জন আক্রান্ত হলেন। মারা গেছেন ৬ জন। অঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। সারাদেশে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিনরাত টহল দিচ্ছে। শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় হয়েছে সীমিত পরিসরে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শুধু দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় হয়েছে। উপস্থিতি ছিল অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক কম।