অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চালু


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট

শর্তের জটিলতা কাটিয়ে ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার বিমানবন্দরে স্থাপিত একটি মোবাইল ল্যাবে করোনা টেস্ট করে ৪৬ জন যাত্রী আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটিতে ৫০ জন যাত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও ৪ জন সময়মতো হাজির হতে না পারায় যেতে পারেননি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান ফ্লাইট শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের করোনা টেস্ট করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফ্লাইটটি আমিরাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

তিনি জানান, বিমানবন্দর এলাকায় একটি মোবাইল ল্যাবে তাদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাদের বোর্ডিং পাস দেয়া হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শর্ত অনুযায়ী যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিমানে উঠতে হবে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এমন পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় দুবাইয়ে এতোদিন কোনো ফ্লাইট চলেনি। এতে অর্ধ লক্ষের মতো প্রবাসী আটকা পড়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি।

বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব বসানোর দাবিতে প্রবাসীরা কয়েক দফা কর্মসূচিও পালন করেন।

প্রবাসীদের দাবির মুখে গত ৬ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব বসানোর নির্দেশ দেন। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে ল্যাব বসানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার দ্ইু সপ্তাহ পরও স্থায়ী ল্যাব বসানো হয়নি। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই সাত প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল ও এসওপি সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের অনুমোদন পেলেই প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করবে।

নির্বাচিত সাতটি প্রতিষ্ঠানের একটি ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক-এর মোবাইল ল্যাবে বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬ যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি তদারকি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যেসব যাত্রী করোনার নেগেটিভ সনদ দিয়ে যাত্রা করেছেন তাদের ইউএই-তে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে আবারো করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেখানে করোনামুক্ত নিশ্চিত হলেই তাদের সে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

XS
SM
MD
LG